বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
আরেক চালকের স্বীকারোক্তি, কারাগারে ৩ জন
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় রমিজউদ্দিনের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মামলায় জাবালে নুর বাসের আরেক চালক মো. জোবায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর কাছে ওই স্বেচ্ছা স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে এ মামলায় অপর তিন আসামিকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন, চালক সোহাগ আলী, হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপন।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এদিন সাত দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। গত ৬ আগস্ট আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মামলাটিতে জাবালে নুরের ঘাতক বাসের মালিক মো. শাহদাত হোসেন ও চালক মাসুম বিল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করেছেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্টো-১১-৯২৯৭ এর অজ্ঞাত চালক, আরও অজ্ঞাতনামা জাবালে নূর পরিবহনের কয়েকটি বাসের সাথে বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালিয়ে হোটেল রেডিসনের বিপরীত পাশে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের পাশে বাসে ওঠার অপেক্ষায় থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্র ছাত্রীর উপর গাড়ীটি তুলে দিয়ে গুরুতর আহত করে চালক পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গুরুত্বর আহতদের মধ্যে উক্ত কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। এছাড়া এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান চৌধুরী, মেহেদী হাসান জিসান, রাহাত, সজিব, জয়ন্তি, প্রথম বর্ষের ছাত্রী রুবাইয়া, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তৃপ্তাসহ আরও কয়েকজন বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিএমএইচ হাসাপতালেসহ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থায়ী তদন্তে জানা যায়, উক্ত বাসের অজ্ঞাতনামা চালক জাবলে নূর পরিবহনের বাস যার রেজিস্ট্রেটশন নম্বর ঢাকা মেট্টো গ-১১-৭৫৮০, ঢাকা মেট্টো ব-১১-৭৬৫৭সহ আরো কয়েকটি অজ্ঞাতনামা বাসের চালকগণ হেল্পারদের প্রত্যেকের উপস্থিতি ও উস্কানিতে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে বেপরোয়ানা ও দ্রুত গতিতে বাসগুলো চালিয়ে আসায় ঘাতক বাস ছাত্র ছাত্রীদের উপর উঠাইয়া দেয়। প্রতিযোগীতায় লিপ্ত বাসগুলোর মধ্যে ৪ জন চালক ও হেল্পারদের নাম প্রাপ্ত হয়ে তাদের রাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।
ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/আরজেড/ডিএম