শোকের মাসে স্কুুল বন্ধ রেখে এমপিকে সংবর্ধনা

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৮, ২১:০৪

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শোকের মাসে সবাই যখন ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করছে, তখন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সব হাইস্কুল বন্ধ রেখে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানকে সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি।

সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রচারণার জন্য কয়েক দিন আগে থেকে কয়েকটি রঙিন তোরণ নির্মাণ করা হয় বিভিন্ন স্থানে। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ সমালোচনার ঝড় বইছে।

তোরণের রঙিন ব্যানারে লেখা ছিল ‘২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলায় দৃশ্যমান অবকাঠামোসহ শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের রূপকার জনাব আলহাজ এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি মহোদয়কে স্বাগতম।’

আর অনুষ্ঠান মঞ্চের সাদাকালো ব্যানারে লেখা ছিল ‘২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ে বানিয়াচং উপজেলায় দৃশ্যমান অবকাঠামোসহ শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের রূপকার জনাব আলহাজ এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা।’

কিন্তু ব্যানারে শোক দিবসের আলোচনা লেখা থাকলেও বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমপি মজিদ খানকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দেয়া হয়।

উপজেলার ৩৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে সব শিক্ষক বেশ কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম আকবর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংবর্ধিত এমপি আব্দুল মজিদ খান, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা, বানিয়াচং সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মুফতি আতাউর রহমান, আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল ভূষণ রায়, রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ তাহের, মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভানু চন্দ্র চন্দ, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার খানম, ইকরাম নন্দপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক চৌধুরী, ডা. ইলিয়াছ একাডেমীর শিক্ষক হেমায়েত আলী খান প্রমুখ।

শোকের মাসে সংবর্ধনার জন্য স্কুল বন্ধ রেখে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়নি; কিছু স্কুল বন্ধ ছিল। স্কুল প্রধানরা বিশেষ প্রয়োজনে এক দিন বন্ধ রাখার ক্ষমতা রাখেন।’

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন খন্দকার জানান, স্কুল বন্ধের বিষয়টি জেনে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৩৩টি স্কুল বন্ধের কথা স্বীকার করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/মোআ)