চোরাচালান ঠেকাতে তেলের দাম বাড়াচ্ছে ভেনেজুয়েলা

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৫ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেছেন, তার দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার চোরাচালানঠেকাতে ভর্তুকি দেয়া জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা উচিত।

টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তৃতায় মাদুরো বলেন, ‘কলম্বিয়া ও অন্যান্য ক্যারিবীয় দেশগুলোতে চোরাচালান ঠেকাতে পেট্রোল অবশ্যই আন্তর্জাতিক দামে বিক্রয় করতে হবে।’

অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও তাদের নাগরিকদের পেট্রোলে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে থাকে। ১৯৮৯ সালে দেশটির রাজধানী কারাকাসে মারাত্মক দাঙ্গা দেখা দিলে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়।  

এই পদক্ষেপের কারণ কি?

ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির ব্যাপক পতন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছর মুদ্রাস্ফীতির হার এক মিলিয়ন শতাংশ পৌঁছাতে পারে। কিন্তু জ্বালানি তেলের মূল্য কেবল পরিবর্তিত হয়েছে।

ভেনেজুয়েলার স্থানীয় মুদ্রা এক বলিভারে এক লিটার পেট্রোল পাওয়া যায়। কিন্তু কালো বাজারে এক ডলারের বিপরীতে ৪০ লাখ বলিভার মুদ্রা পরিশোধ করতে হয়।

তার মানে দাঁড়াচ্ছে, ভেনেজুয়েলার নাগরিকরা এক ডলারের বিপরীতে একটি মাঝারি আকারের গাড়ির তেলের ট্যাঙ্ক ৭২০ বার ভর্তি করতে পারবেন।

ভেনেজুয়েলা থেকে ভর্তুকির জ্বালানি প্রতিবেশী দেশগুলোতে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয়। আর এটি অনেক বড় ব্যবসা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলায় প্রতি বছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি তেল চোরাচালান হয়।

প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলার জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনতে চোরাচালান বন্ধ করতে হবে।

তেল রপ্তানি করে ভেনেজুয়েলার সবচেয়ে বেশি আয় হয়। তেল উৎপাদন হ্রাসের মুখে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা অংশ এই পদক্ষেপ।

ভেনেজুয়েলার প্রয়াত বামপন্থী নেতা হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে একসময়কার তেলসমৃদ্ধ দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উচ্চমাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও ওষুধসংকট, অপরাধ বেড়ে যাওয়া, বিশুদ্ধ পানিসংকট, বিদ্যুতের ঘাটতি ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এসআই)