ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৩টি সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০১৮, ২১:০৫ | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলাকাল নির্মিত ২৩টি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ফতেহপুরেরে রেলওয়ে ওভারপাস উদ্বোধন করেছেন।

মঙ্গলবার গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের এই সেতু ও উড়াল সড়ক উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি একটি আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।

সড়ক যোগাযোগ আধুনিক করতে ভবিষ্যতে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-দিনাজপুর পর্যন্ত আমরা দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন করে দেব। এখন আধুনিক অনেক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছি।’

যেসব মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে সেগুলোর পাশে আলাদা সার্ভিস লেন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইওয়তে দ্রুতযান চলবে। স্থানীয় জনগণ যাতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে পারে আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়ে চারেলেনের সড়কের পাশে আলাদা লেন করছি, যাতে লোকাল যানবাহন চলাচল করতে পারে। রেললাইন যেখানে সেখানে প্রয়োজনে ওভারপাস এবং আন্ডারপাস করে দিচ্ছি।’

এই অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি দ্বার উন্মোচিত হলো বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই ধারা তিনি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। বলেন, ‘জাতির পিতা দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বলেছিলেন আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উপআঞ্চলিক সহযোগিতা। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ না দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।’

এই ২৩টি সেতু ও ওভারপাস সেপ্টেম্বর মাসের উদ্বোধনের কথা বলেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে প্রধানমন্ত্রী বিলম্ব চাননি। বলেন, ‘আমার সব সময় মনে হয় এদেশের মানুষের ভালোর জন্য যদি একটি ছোট কাজও করতে পারি, তাহলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি জানতে পারবেন, এটা আমার উপলব্ধি।’

এ সময় বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তুলে ধরেন তাকে হত্যার কথা। বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী জাতি। কিন্তু পরাজিত শত্রুরা কখনোই বসে থাকে নাই। তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে। যখন তারা দেখতে পারল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষের অর্থনীতির পরিবর্তন হচ্ছে তখনই তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আঘাত হানল। এ আঘাত যে শুধু দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করলো তা না, একটি পরিবারকে শেষ করে দিল। তাঁরা আমার ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইকেও হত্যা করল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এ রক্তের কেউ যাতে নেতৃত্বে না আসতে পারে।’

‘একটা দিনে আমি আর আমার ছোটবোন (শেখ রেহানা) সবই হারালাম। মা, বাবা ভাই নাই, আমরা এতিম হয়ে গেলাম। আমাদের ঘর নাই বাড়ি নাই। ছয়টি বছর দেশে আসতে পারি নাই। আওয়ামী লীগ আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। অনেক বাধাবিঘ্ন ফেরিয়ে দেশে আসি কিন্তু আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়ি ডুকতে দেয়া হয়নি। ওই ভবনে গিয়ে দোয়া করার অধিকার আমার ছিল না। হত্যাকারীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছিল।’

‘আমি রিক্ত, নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছিলাম। দেশে এসে সারাদেশ ঘুরেছি, পেয়েছিলাম মানুষের ভালোবাসা। আর আমাদের অগণিত কর্মীর সহযোগিতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বজনহারা বেদনা নিয়ে আমাকে চলতে হয়। আমার চলার পথ কখনো সহজ না, আমি জানি। বারবার আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিন্তু আমি পিছিয়ে যায়নি। পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেনি। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যা যা চেষ্টা করার দরকার তাই চালিয়ে যাচ্ছি।’

ঢাকাটইমস/১৪আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :