টিপস

হ্যাকিং থেকে বাঁচতে পাঁচ উপায়

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩০

অনলাইনে এখন কেউই নিরাপদ নয়। প্রতিদিনই কারো কারো ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইন থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। কিন্তু হ্যাকিং ঠেকানোর উপায় কী? জেনে নিন হ্যাকিংয়ে হাত থেকে বাঁচার পাঁচ উপায়।

১) টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন / টু স্টেপ-ভেরিফিকেশন সিস্টেম ব্যবহার। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত, সব জায়গাতেই টু-স্টেপ ভেরিফিকেশনের অপশন চালু করতে পারেন আপনি। এই অপশন চালু করা থাকলে প্রতিবার অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার সময়ে আপনার মোবাইলে মেসেজ আকারে একটি কোড আসবে। এছাড়া আপনি লগ ইন করতে পারবেন না। এই অপশন চালু থাকার সুবিধাটি হল, হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জেনে ফেললেও আপনার মোবাইলে আসা কোডটি ছাড়া সে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না।

২) সব জায়গায় একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। অনেকেই একাধিক পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না। কিন্তু তাই বলে সব অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাটা মোটেই নিরাপদ নয়। এমন করলে খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টে হ্যাক করতে পারে হ্যাকাররা।

৩) আপডেট দিতে ভুলবেন না। উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট নেওয়াটা অনেকেরই অপছন্দ। অনেকেই একে অযথা ‘সময় নষ্ট’ বলে মনে করেন। কিন্তু এসব আপডেট আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতেই সাহায্য করে। তাই সব সময় আপডেটেড রাখুন আপনার কম্পিউটারকে।

৪) সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবধান। হ্যাকাররা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখতে পারে। আপনি কত খরচ করছেন, কোথায় খরচ করছেন, কখন দেশের বাইরে থাকবেন, কখন মিটিং-এর জন্য ফোন বন্ধ রাখবেন এ সব তথ্যই তারা ফেসবুক বা টুইটার থেকে সংগ্রহ করতে পারে। হয়তো আপনি কোনও ই-কমার্স সাইট থেকে কোনও পণ্যের ডেলিভারি নেবেন। তারা ওই সংস্থার কর্মচারী হিসেবে আপনাকে ফোন করে আপনাকে বলতে পারে নতুন করে লগ ইন করে ডেলিভারি কনফার্ম করতে হবে। লগ ইন করতে গিয়ে আপনি হয়ত ভুয়া ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য দিয়ে ফেললেন। এভাবে তারা আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার সুযোগ পেয়ে যায়। প্রশ্ন হল, আপনি যে ই-কমার্স সাইট থেকে ডেলিভারি নেবেন তারা জানল কী করে? হয়তো ফেসবুকে আপনি এ নিয়ে কথা বলেছিলেন। সুতরাং, এসব বিষয়ে খুব সতর্ক থাকুন।

৫) ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখুন। অনেক সময়েই দেখা যায়, আপনাকে ফোন করে বলা হচ্ছে ব্যাঙ্কের জন্য আপনার ন্যাশনাল আইডি নম্বর অথবা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর দিতে হবে। অনেকেই না বুঝে নম্বর দিয়ে দেন। কিন্তু কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কখনও এভাবে ফোন করে ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইবে না। এমন ফোন কল পেলে সবার আগে ওই প্রতিষ্ঠানের নম্বরে ফোন করুন এবং জানতে চান কোনও কারণে এমন ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন সত্যিই আছে কিনা! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব ফোন আসলে প্রতারকদের পাতা ফাঁদ হয়ে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা