নদীতে তিন ঘণ্টা ভাসমান নারীকে জীবিত উদ্ধার
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় নদীতে ভাসমান থাকা এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তার নাম রাজিয়া বেগম (৫০)। তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আহত রাজিয়া উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের জুগীরকোফা গ্রামের ঠান্ডু মিয়ার স্ত্রী। বুধবার দুপুরে তাকে বংশাই নদীর গোড়াই পালপাড়া এলাকায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাজিয়া বেগম কয়েকদিন আগে মেয়ের বাড়ি গোড়াই মঈন নগর এলাকায় বেড়াতে আসেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে বংশাই নদীতে গোসল করতে নামলে স্রোতে ভেসে যান।আধাঘণ্টা পর প্রায় এক কিলোমিটার ভাটিতে গোড়াই পালপাড়া এলাকায় তাকে ভাসমান দেখতে পায় স্থানীয়রা।
বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আদিলুর রহমান খানকে জানালে তিনি মির্জাপুর থানার (ওসিকে জানান।
খবর পেয়ে ওসি দুপুর দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
নদীর পানিতে ভাসমান দেখে বাশের সাহায্যে টেনে তীরে আনেন। এ সময়ে রাজিয়া কিছুটা নড়ে উঠলে দ্রুত তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক পবন কুমার সাহা জানান, তাকে সুস্থ করে তুলতে সকল প্রকার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে চব্বিশ ঘণ্টা অতিবাহিত না পর্যন্ত তিনি আশঙ্কামুক্ত নন।
মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর ভাসমান অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি অনেকটা অলৌকিক। এজন্যই বলে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’?
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)