বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২০:০০ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২০:০৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে  করা দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে  আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানায় করা ওই দুই মামলায় জামিন না পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান, রেদোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, সীমান্ত সরকার ও ইকতিদার হোসেন।

এর আগে গত ১২ আগস্ট চারজন শিক্ষার্থীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। তারও আগে গত ৭ জুলাই মোট ২২ শিক্ষার্থীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৯ আগস্ট আসামিদের আদালতে হাজিরা করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়।

মামলার অপর শিক্ষার্থী আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, ইফতেখার আহম্মেদ,  এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, বায়েজিদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, মেহেদী হাসান, আমিনুল এহসান বায়েজিদ, জাহিদুল হক, নূর মোহাম্মদ ও হাসান।

আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৪ জন বাড্ডা থানার মামলায় এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। তারা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়ার দাবি, গত ৬ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আফতাবনগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন তারা।

অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদের দাবি, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। তারা  বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা, জানালা ভাঙচুর করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)