হাসিনুরের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান স্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩২ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও অনুকম্পা কামনা করেছেন তার স্ত্রী। ১০ দিনেও তার কোনো সন্ধান না না পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে হাসিনুরের পরিবার।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসিনুরের স্ত্রী শামীমা আকতার এসব কথা বলেন।

গত ৮ আগস্ট রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে হাসিনুরকে দুটি মাইক্রোবাসে করে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায় বলে সেসময় জানিয়েছিল তার পরিবার। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

হাসিনুরের স্ত্রী জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে দুটি মাইক্রোবাসে করে ১৪ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যান। ওই সময় তুলে নেওয়া ব্যক্তিরা সাদা পোশাকে ছিলেন। কী কারণে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি। এ ঘটনার পর তিনি পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

শামীমা আকতার বলেন, ‘আমার স্বামী চার বছর থেকে বাসায় থাকেন। প্রয়োজন ছাড়া কখনোই বের হতেন না। কিন্তু ঘটনার দিন তাকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হলো। এখনো তার খোঁজ বা সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।’

‘আমার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন, তিনি আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমার স্বামীকে খুঁজে বেব করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিন।’

হাসিনুর কোনো রাজনৈতিক দল বা অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেন তার স্ত্রী।

এসময় অপহৃত হাসিনুরের ছোট ভগ্নিপতি চিকিৎসক এস এম এহতেসাম হক বলেন, ‘তিনি (হাসিনুর) দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে চাকরি করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযাগ নেই।’

‘একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হলো আর তার সন্ধান মিলছে না বিষয়টি আমাদের অবাক করেছে। তাকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে তার হাসিনুরের শ্যালক ওয়াকিল আহমেদসহ আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনুর রহমান ২০০৫ সালে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহী এবং ২০০৬ সালে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। পরের বছর ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর আর্মি ট্রেইনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে কর্মরত ছিলেন। তিনি কিছু দিন বিজিবিতেও ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় দণ্ডিত হয়ে পাঁচ বছরের জেল খেটে ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন হাসিনুর।

ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এসএস/ডিএম