জমে উঠছে পশুর হাট, বাড়ছে ভিড়

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪২ | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩৮

ঈদুল আজহার বাকি আর পাঁচ দিন। ঈদ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাট। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই পছন্দের পশু কিনতে গাবতলী হাটে ক্রেতা সমাগম ছিল উল্লেখযোগ্য।

সকাল থেকেই হাটে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। একদিকে ক্রেতাদের পশু দেখা ও দামাদামি। অন্যদিকে ঢাকার বাহিরে থেকে বিক্রেতারা গাবতলি হাটে ঢুকছে ট্রাক ভর্তি গরু নিয়ে।

তবে নিজেদের দেওয়া দাম থেকে ক্রেতাদের তেমন ছাড় দিচ্ছেন না বিক্রেতারা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে গাবতলি হাটে কুরবানির পশু কিনতে আসা অনেক ক্রেতার।

রাজধানীর মগবাজার থেকে কুরবানির পশু কিনতে গাবতলী হাটে এসেছেন আব্দুল মজিদ বাবু। কুরবানির গরু পছন্দ করে কিনতে বাবার সাথে হাটে এসেছে ১২ বছরের বশির।

ঢাকাটাইমসকে আব্দুল মজিদ বাবু বলেন, ‘বিক্রেতারা দাম বেশি হাঁকছে। সাধারণত যে দাম হওয়া উচিত তার চাইতেও অনেক বেশি। এখনো গরু আসছে। দেখতে আসছি। পুরোপুরি গরু না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

মিরপুর থেকে আসা মিজান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দেশি গরুর পরিমাণ একটু কমই মনে হচ্ছে। হাটে নেপালি গরুও দেখতে পাচ্ছি। দেশি যা দেখছি, পছন্দ হলেও দামে হচ্ছে না। দাম অনেক।’

কুষ্টিয়া থেকে আগত ব্যাপারীদের কাছে দেখা গেছে অধিকাংশই নেপালি জাতের গরু। বছর খানেক আগে স্থানীয় হাট থেকে গরু কিনে তা লালনপালন করে হাটে এনেছেন এই বিক্রেতারা।

মূলত প্রতি বছর কুরবানির ঈদের পর নতুন গরু কেনেন এসব পশু ব্যবসায়ীরা। এক বছর লালনপালন শেষে ঢাকার হাটে নিয়ে আসেন বিক্রি করতে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর থানা থেকে আটটি গরু নিয়ে এসেছেন শফি। আটটি গরুই নেপালি জাতের। শুক্রবার পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি। তাই বলে দাম কমাতেও রাজি নন এই বিক্রেতা।

ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘লোকজন আসে, দেখে। দামে হয় না। তাই বেচি না। এক বছর পালছি, গরুর খাবারের দাম বেশি। অনেক খরচ। কম দামে হয় না।’

এদিকে হাটে দেশি গরুর সংখ্যা কম দেখা গেছে। তবে পুরোপুরি জমে উঠতে পারেনি হাটটি। আরো দু’দিন গড়ালে প্রতি বছরের মতো বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে দেশি গরুর দেখা মিলবে। এমনটা জানালেন গাবতলী পশুর হাটের কর্মী রাসেল।

একই ভাবে জমে উঠেছে রাজধানির বসিলা রোডে বসা গরুর হাটও। শুক্রবার সকালে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে হাটটিতে। সকালের ক্রেতার সাথে আরো ক্রেতা যুক্ত হয়েছে বিকাল থেকে। জমজমাট আকার ধারণ করেছে পশু বিক্রির এই হাটটি। চলছে বেচাকেনা।

হাটটিতে দেখা গেছে দেশি, নেপালি, অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয়সহ প্রায় সব জাতের গরু রয়েছে। ছোট, মাঝারি আকারের গুরুর সাথে হাটে জায়গা পেয়েছে বড় গরু। এখন পর্যন্ত মোহাম্মদপুর বসিলা হাটের সবচেয়ে বড় গরু ‘সংকর’ জাতের। বিক্রেতা এটির দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলা হলেও এখনো গরুটি বিক্রি করেননি এর বিক্রেতা।

ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/কারই/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :