বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন
রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। মুখাগ্নি করেন তার পালিতা কন্যা নমিতা ভট্টাচার্য। নমিতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে নীহারিকা। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল ৫টায় দিল্লির স্মৃতিস্থল শ্মশানে গান স্যালুটে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিন বাহিনীর সদস্যরা।
আনন্দবাজার জানায়, শেষ বারের মতো বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধান, প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’রা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ছিলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কিরিয়েল্লা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও।
বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ রাখা ছিল কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে। আজ সকালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির নতুন সদর দপ্তরে। দীর্ঘ দিন ভারতীয় জনতা পার্টির রাশ তার হাতে থাকলেও এই নতুন অফিস থেকে তিনি কখনও দল পরিচালনা করেননি।
দুপুর ২টা পর্যন্ত মরদেহ শায়িত ছিল বিজেপি সদর কার্যালয়েই। পরে সেখান থেকে শোকযাত্রা পৌঁছায় রাজঘাটের কাছে রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে। সমাধিস্থলে একটি স্মৃতিস্মারকও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। শেষযাত্রায় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর রাস্তায় হাজির হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঢল নামে অগণিত সাধারণ মানুষেরও।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও ছুটি ঘোষণা করেছে। পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগঢ়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য।
শুক্রবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, কলেজ, সরকারি দপ্তরে ছুটি ঘোষণা করেছে বিহার সরকারও।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এসআই)