সড়কে গাড়ির চাপ, যানজটে ভোগান্তি
ঈদুল আজহার ছুটি কাটাতে বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকা ছাড়ছেন অগণিত মানুষ। তবে সড়কপথে ঈদযাত্রায় দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। গাড়ির চাপ বাড়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
তবে বরাবরের মতো সড়ক পথে যাত্রীদের পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিতে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের চন্দ্রা সড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এতে ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক পথের ঈদ যাত্রীদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
গাড়ির বাড়তি চাপ এবং অপ্রশস্ত রাস্তার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জাল হোসেন।
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কেও যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। যানজট না থাকলেও ধীর গতিতে চলছে উত্তরবঙ্গগামী বাস ও ট্রাকগুলো।
নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করেন ঈদে বাড়ি যাওয়ার বাস টিকেট। অগ্রীম টিকেট পাওয়ার পর এখন শুরু হয়েছে বাড়ি ফেরার পালা। ঈদুল আজহায় বাড়ি ফিরতে যারা বাসের আগাম টিকিট কিনেছিলেন তারাই শনিবার থেকে যাত্রা শুরু করেছেন।
যাত্রীরা বলছেন, অগ্রিম টিকিট কাটা হলেও নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছাড়া হচ্ছে না। আর পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তায় যানজটের কারণে ঠিক সময়ে গাড়ি ঢাকায় পৌঁছাতে না পারার কারণে গাড়ি ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে।
হানিফ সুপারভাইজার বিল্লাল ঢাকাটাইমসকে জানান, রাস্তায় যানজটের কারনেই গাড়ি নির্ধারিত সময়ে আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
এদিকে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে বাসের চালক ও ফিটনেস তল্লাশিতে ছাড়ের খবরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তারা জানিয়েছেন, সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষদের পৌঁছাতে খুব একটা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুক তালুকদার সোহেলকে ফোন করা হলে কথা বলতে রাজী হননি গাবতলী বাস টার্মিনালের এই পরিবহণ নেতা।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শ্যামলী পরিবহনের এমডি রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, চালকের লাইসেন্স ও গাড়ি ফিটনেস তল্লাশির কারণে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে পর্যাপ্ত বাস চলাচল নিয়ে পরিবহনে একটা অস্থিরতা ছিল। এর ফলে ঈদের সময় বাসে করে যারা বাড়ি ফিরবেন তাদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা ছিল। বিষয়টি মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও বিষয়টির গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করেছেন।
হানিফ পরিবহনের জিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের একটি বড় অংশের চালক ও গাড়ির ফিটনেস তল্লাশিতে ছাড় দেওয়ায় আমাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এসআর/ডিএম