ছিনতাইকারী কল্যাণ ফান্ড!
ছিনতাইকারীদের কল্যাণ ফান্ডের হদিস পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাদের একটি দল। ছিনতাইকৃত টাকা ভাগাভাগি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে তৈরি হয়েছে কল্যাণ ফান্ড।
পুলিশ বলছে, এই ফান্ডের টাকা ব্যয় হয় গ্রেপ্তার ছিনতাইকারিদের আদালত হতে ছাড়িয়ে আনা এবং আহত হলে চিকিৎসা কাজে। এই কল্যাণ ফান্ডে আকারও নেহাত কম নয়। ফান্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে আট লাখ টাকা। যা পুরোটাই ছিনতাইয়ের টাকা।
শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
এরআগে ডিএমপির গোয়েন্দা পুর্ব ও পশ্চিম বিভাগের কয়েকটি টিম শুক্রবার রাত থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আট জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগর, মো. আলী হাসান, সবুজ বিশ্বাস, মো. রকি ওরফে নুরুজ্জামান, মোছা. মুক্তা বেগম, মোছা. বেবি আক্তার, মোছা. নুপুর ওরফে ঝুমুর ও মো. লিটন মিয়া।
তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকারী কল্যাণ ফান্ডের নগদ আট লাখ টাকা, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি চাপাতি, দুইটি চাকু ও ১২ টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেন, গত শনিবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছিনতাইকারীদের বরাত দিয়ে আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, ছিনতাইকারীদের এই চক্রটি বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে মার্কেটে আসা ক্রেতাদের ভিড় যখন বেড়ে যায় তখন সুকৌশলে মোবাইল টাকা পয়সা নিয়ে নেয়। এছাড়াও তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে। তারা মাসে গড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করে থাকে।
বিভিন্ন স্থানে অপরাধ সংগঠনের লক্ষে দ্রুত যাতায়াতের জন্য তারা আটককৃত মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করত বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এএ/ডিএম