পদ্মা গিলে খেল বিলাসবহুল চারতলা বাড়ি

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১১:৫১

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে একের পর এক স্থাপনা। ফসলি জমি, বসতবাড়ির সাথে রক্ষা পাচ্ছে না সরকারি ভবনও। গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভাঙনে আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন মানুষ। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে নড়িয়া উপজেলার অস্তিত্ব থাকবে কীনা তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতেও শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী (গাজী কালুর মেহমান খানা) নামে চারতলা বিলাসবহুল বাড়ি, খান বাড়ি জামে মসজিদ ও মোহাম্মদ দিলু খার দোতলা পাকা বাড়িটিও গেছে পদ্মার পেটে।

বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মূলফৎগঞ্জ বাজারটি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সব ধরনের মালামাল ও স্থাপনা। যেকোনো সময় পদ্মা নদীতে বিলীন হতে পারে বাজার ও হাসপাতাল।

রবিবার সরেজমিনে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নড়িয়া-মূলফৎগঞ্জের একমাত্র সড়কের নড়িয়া বাঁশতলা থেকে পূর্ব নড়িয়া মূলফৎগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় ফের পদ্মায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

দিনের পর দিন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভাঙনে দিশেহারা মানুষগুলো। ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের কাছে দ্রুত বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন জানান, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তা চলতে থাকলে থাকলে বেশি দিন লাগবে না শরীয়তপুরের মানচিত্র থেকে নড়িয়া হারিয়ে যেতে।

একই কথা জানালেন আশরাফুল ইসলামও। তিনি বলেন, নড়িয়া উপজেলার সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘরবাড়ি, দোকান ঘর, গাছপালা, ফসলি জমি পদ্মায় তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে নড়িয়া উপজেলা রক্ষায় পদ্মা নদীর ডান তীরে বাঁধ নির্মাণ জরুরি বলে মত দিয়েছেন তিনি।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন শুরুর বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে খুব শিগগিরই বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন বলেন, বিলাসবহুল বাড়িটি পদ্মায় তলিয়ে গেছে শুনে সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিক অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে ভাঙন কবলিত নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ৯ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের কাজ শুরু করবে সরকার।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)