পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে বিতর্কে সিধু
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানের ফাঁকে ছবিটা প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করায় ভারতের কংগ্রেস নেতা ও পাঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুর মৃত্যুদণ্ড দাবি উঠল। দাবি তুলল, বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা।
সিধুকে মোর্চা নেতা আফতাব আদভানি ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, সিধু ভারতীয়দের কথা ভুলে গিয়েছিলেন।
তার কথায়, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার থেকে ইমরানের শপথে যোগ দেয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল সিধুর। এই ধরনের মানুষের এ দেশে থাকার কোনও অধিকারই নেই।’
পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন প্রসঙ্গে সিধু বলেন, ‘জেনারেল আমাকে আলিঙ্গন করেন। এবং বলেন, এটা শান্তির সময়। এটাই আমার স্বপ্ন।’
এনডিটিভিকে দেখা সাক্ষাৎকারে সিধু বলেন, ‘তিনি ইতিবাচক দিকটি দেখবেন। নেতিবাচক কিছুর চেয়ে ইতিবাচক যেকোনো কিছু ভালো।’
জেনারেল বাজওয়া সিধুকে বলেছিলেন, ‘আমি একজন সেনা কর্মকর্তা, তবে আমি ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। নভজ্যোৎ, আমরা শান্তি চাই।’
তবে সিধু যাই বলুন, বিতর্ক যে সহজে পিছু ছাড়ছে না, তার অভাস পাওয়া গিয়েছে কাশ্মিরের কংগ্রেস প্রধান গুলাম আহমেদ মীরের কথায়।
তিনি বলেন, ‘সিধু একজন দায়িত্ববান রাজনৈতিক নেতা। একজন মন্ত্রী। সিধুর উচিত ছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে না বসা।’
আহমেদ আরও বলেন, ‘কেন সিধু মাসুদ খানের পাশে বসলেন, সে উত্তর তিনি নিজেই দিতে পারবেন।’
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এসআই)