ঈদের আগে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি আইনজীবী সমিতির

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী যেসব শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঈদের আগে তাদের মুক্তি দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

আজ রবিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত হয় সংবাদ সম্মেলনটি।

এতে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে বিতর্কিত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই আইনকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সরকার।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘মুসলমানরা পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। অথচ ন্যায্য আন্দোলন করতে গিয়ে বহু ছাত্রছাত্রী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এটা খুবই অমানবিক। তাই এ শিক্ষার্থীদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।’

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘ভারতের আদালতে এক রিট আবেদনের মাধ্যমে এই ধরনের ধারা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের আদালতেও এই ধারা বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলা চলছে। তা সত্ত্বেও আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

জয়নুল আবদীন বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করেছে। যেসব ছাত্রছাত্রী এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তারা কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়ভিত্তিক অঙ্গসংগঠনের সদস্য ছিল না। তবু জামায়াত-বিএনপিকে জড়িয়ে এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দুটি আন্দোলনের যৌক্তিকতা স্বীকার করলেও কেন হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে, তা বোধগম্য নয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, হেলমেটধারী সন্ত্রাসীরা ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেপ্তার করা হলেও ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

হেলমেটধারীদের বিষয়ে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্তিত ছিলেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সিনিয়র সহসম্পাদক কাজী জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/এমএবি/মোআ)