না ফেরার দেশে নৃত্যগুরু বাদল

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪৩

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নৃত্যগুরু বজলার রহমান বাদল আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিনি সাড়ে তিনটার দিকে মারা গেছেন। তারপরও আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। সাড়ে ৫টার দিকে ঘোষণাটি দিতে হয়েছে।’

৯৫ বছর বয়সী ওস্তাদ বজলার রহমান বাদল শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগসহ শারিরীক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। থাকতেন নগরীর শিরোইল এলাকায় মেয়ের বাসায়। গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শয্যা না পাওয়ায় হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কক্ষের মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে।

খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন নব-নির্বাচিত সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তৎপর হয় জেলা প্রশাসনও। পরে নৃত্যগুরু বাদলকে একটি শয্যায় তোলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয় তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রবিবার বেলা ১১টার দিকে নৃত্যগুরুকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গেল বছর স্বাধীনতা পদক পান ৯৫ বছর বয়সী নৃত্যশিল্পী বজলার রহমান বাদল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে পদক তুলে দেন। এছাড়া শিল্পকলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার, নজরুল অ্যাকাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। পেয়েছেন ‘নৃত্যগুরু’ উপাধি। বহু সংবর্ধনা এবং সম্মাননাও পেয়েছেন তিনি।

দেশের গুণি এই শিল্পী ১৯২৩ সালের ১৮ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা কলকাতার মানুষ। দাদা আশাক হোসেন আমের ব্যবসা করতে এসে মালদহে বাড়ি করেছিলেন। সেখানেই তার জন্ম। বাবার নাম আবুল কাশেম। মা সখিনা বিবি। বজলার রহমান ১৯৪৫ সালে মালদহ জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরের বছর নাটক করতে রাজশাহী আসেন। তারপর এখানেই পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিলেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/আরআর/ইএস