ঈদের হাওয়া বিপণি বিতানেও

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২১:২১

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

কোরবানির হওয়ায় জনস্রোত এখন হাটের দিকে। তাই বলে একেবারে শূন্য নয় বিপণি বিতানগুলো। উপচে পড়া ভিড় না থাকলেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, রোজার ঈদের মত উপচে পড়া ভিড় কোরবানির ঈদে বিপণি বিতানগুলোতে কখনই থাকে না। তাই বলে বেচাকেনা খারাপ বা লোকসান গুণতে হবে পরিস্থিতি এমনটাও নয়।

রাতেও ক্রেতা আনাগোনা বেশ ভালো ছিল মোহাম্মদপুরের বিলাশ বহুল টোকিও স্কয়ারে। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে ২১ আগস্ট অর্থাৎ ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টোকিও স্কয়ারের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

টোকিও স্কয়ারের পোশাক বিক্রেতা জুয়েল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রোজার ঈদের চাইতে এই ঈদে বিক্রি কমই হয়। তাও বেচাকেনা একেবারে খারাপ না। কাস্টমার আছে। ঐ রকম ভিড় নাই, তারপরেও যারা আসে কেনার জন্যই আসে।‘

শপিং মলটিতে নারী ক্রেতার পরিমাণ বেশি বলে জানান এই বিক্রেতা। ক্রেতারদের বাড়তি চাহিদা ছিল প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোর প্রতি।

একই হারে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর মিরপুর রোড সংলগ্ন শ্যামলী স্কয়ার, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সংলগ্ন রাপা প্লাজা ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সংলগ্ন মেট্রো শপিং মলে।

শ্যামলী স্কয়ারের ‘ফ্যামিলি পয়েন্ট’ শো-রুমটির মালিক শাহানা পারভীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের জন্য আমাদের তেমন কোনো বিশেষ আয়োজন ছিল না। কারণ কোরবানির ঈদে বরাবরই ক্রেতা সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।’

‘ক্রেতাদের মধ্যে মেয়েরাই এগিয়ে, পুরুষ ক্রেতারাও আসছে। সব মিলিয়ে মোটামুটি বেচাকেনা হচ্ছে। তবে আমাদের চাহিদার তুলনায় বেচাকেনা কম।‘

শপিং মলটির বিক্রেতা শ্রাবণী আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেচাকেনা হচ্ছে তবে মার্কেটে ভিড় নাই। যে পরিমাণ কাস্টমার আছে, আমরা তার চাইতে অনেক বেশি আশা করেছিলাম। এখনো দুই দিন বাকি আছে, আশা করছি কাস্টমার আরও বাড়বে।’

বিক্রিবাট্টার দিক থেকে বেশ এগিয়ে গাউসিয়া সুপার মার্কেট। নারীবান্ধব গাউসিয়ায় ক্রেতা থাকে সারা বছর। উপলক্ষ যখন ঈদ, তখন আরো জমজমাট এ মার্কেটটি। বিক্রির দিক থেকে বেশ এগিয়ে আছে মেয়েদের থ্রি পিছ, সেইস, প্রসাধনী ও শাড়ি।

ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/কারই/ডব্লিউবি