নড়াইলে কোরবানির হাটে বেচাকেনা জমজমাট

ফরহাদ খান, নড়াইল
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৮, ১০:৫১

নড়াইলে কোরবানির হাটে মাঝারি ধরনের গরু ও ছাগলের জমজমাট বেচাকেনা চলছে। এক্ষেত্রে গৃহপালিত ষাঁড়ের চাহিদাই বেশি। এসব গরু তথা ষাঁড় ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে ১৬ হাজার টাকা মধ্যে।

নড়াইলের পংকবিলা গ্রামের এজাজুল ইসলাম জানান, তার গৃহপালিত ষাঁড়টি ৫৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। খড় ও ঘাস খাইয়ে গরুটি পালন করা হয়। গত মঙ্গলবার সদরের মাদরাসা হাটে গরুটি বিক্রি করেন তিনি।

ষাঁড় বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চাহিদা কম। কারণ লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে গরু কেনার মতো লোক আমাদের অঞ্চলে তেমন একটা নেই। তাই আমরা ওষুধ দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করি না।

মাদরাসা হাটের গরুবিক্রেতা সাব্বির মোল্যা বলেন, এবার বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।

বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি দু’টি ষাঁড় কিনেছি। দাম সাধ্যের মধ্যে আছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় গরু হাটের পরিবেশ বেশ ভালো।

নড়াইল পৌর এলাকার বরাশুলা এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, গরুর দাম সহনীয় আছে। ৫০ হাজার টাকার মধ্যে একটি গরু কিনেছি।

শহরের ভওয়াখালীর এক ক্রেতা জানান, বিভিন্ন আকারের গরু দেখছি। এখনো কেনা হয়নি।

এদিকে গরুর পাশাপাশি ছাগলের বেচাকেনাও চলছে।

ছাগল বিক্রেতা হামিদ শেখ বলেন, গত কোরবানির ঈদে যে ছাগল ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, সেই মানের ছাগল এবার বিক্রি হয়েছে নয় হাজার থেকে সাড়ে নয় হাজার টাকায়।

ভওয়াখালীর এক বিক্রেতা জানান, তিনি একটি ছাগলের দাম ১২ হাজার টাকা চেয়েছেন; ক্রেতারা নয় হাজার টাকার কম দাম বলেছেন।

সদরের মাইজপাড়া, মাদরাসা, চাকই, লোহাগড়া, দিঘলিয়া, বড়দিয়া, কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া, গাজীরহাট, নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন পশু হাটের ইজারাদাররা জানান, এ বছর কোরবানির পশু হাটে গরু ও ছাগলের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় বেচাকেনা জমে উঠেছে। এখানকার হাটগুলোতে প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠা গরুই বিক্রি হয়। এসব গরুর দাম ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে, আকার ভেদে ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে দেশীয় গরুগুলো। এখানকার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু নেই। আর ছাগল বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে ১৬ হাজার টাকা মধ্যে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নড়াইলে ছোট-বড় ১৬টি পশুর হাটে বেচাকেনা চলছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশুর হাট, ব্যাংকসহ সড়ক ও নৌপথে চলাচলরত পশুবাহী যানবাহন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা রোধে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক তথা ঈদ উৎসব মুখর করতে ডিবি ও সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোরবানির হাট কেন্দ্রীয় বড় লেনদেন এবং চামচা নিরাপদে বেচাকেনার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করবে। আমাদের হেল্প নাম্বারগুলো হাট ইজারাদারদের কাছে রয়েছে। এছাড়াও কোনো ব্যক্তির চোখে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কিছু ধরা পড়লে পুলিশকে জানানোর আহবান করছি।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :