রাশেদদের জামিন হলেও পাননি লুমা

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:১১ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:৩৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেত্রী লুৎফুন নাহার লুমা জামিন পাননি। যদিও প্রথমে তার জামিন পাওয়ার তথ্য জানা গিয়েছিল।

রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা এই মামলায় সোমবার লুমার পক্ষে জামিন চাওয়া হলেও তা নাকচ করে দেয় আদালত।

একই দিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা রাশেদ খাঁনসহ বেশ কয়েকজনের জামিন হয়। লুমারও জামিন হয়েছে বলে সে সময় আইনজীবীরা জানান। তবে পরে আদালতের আদেশে দেখা যায় লুমার নাম নেই।

গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে ফেসবুকে ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয়। সেদিন শিক্ষার্থীদের রাস্তায় অবস্থানের সময় হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে বেশ কয়েকজন বলতে থাকে, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ধর্ষণ, হত্যা করা হচ্ছে।

এ সময় বোরকা পড়া এক তরুণী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘জিগাতলাতে তাদের পার্টি সেন্টারে অনেক অনেক মেয়েকে রেপ করা হচ্ছে। প্লিজ কিছু করেন।’

মেয়েটির মুখ এমনিতেই ঢাকা ছিল। কিন্তু রেকর্ডিংয়ের সময় তার সেই মুখেও ক্যামেরা ধরা হয়নি।

এই তরুণী লুমা বলেই সে সময় সামাজিক মাধ্যমে প্রচার পায়। গত ১৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের ক্ষিদ্র চাপড়ির চর থেকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

যদিও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সেই মেয়েটি লুমা নন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায়।

 

নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে গত ৫ ও ৬ আগস্ট নামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রেপ্তার ৪০ জনের জামিন হয়েছে গত দুই দিনে। আবার আজ জামিন পেয়েছেন কোটা আন্দোলনে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশ বা ছাত্রলীগের প্রকাশ্য তেমন বিরোধিতা না থাকলেও গত ২৭ জুন রাশেদ খাঁন ফেসবুক লাইভে এসে নানা কথা বলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

রাশেদ সেদিন বলেন, ‘মনে হয়, দেশটা তার বাপের’। এই কটূক্তি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে অভিযোগ করে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রাশেদসহ আটক হয় অন্তত আট জন নেতা।

ঈদের আগে নিরাপদ সড়ক ও কোটা আন্দোলনকারী নেতাদের মুক্তির দাবি ছিল। তবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় যারা ফেসবুকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হত্যা ও ধর্ষণের গুজব ছড়িয়েছে, তাদের কারও জামিন হয়নি।

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/ডিএম/ডব্লিউবি