ঈদের আগে জামিন নওশাবারও

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২৪ | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৩৩

ঈদে কারাগারে থাকতে হচ্ছে না মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক লাইভে এসে দুই ছাত্রকে হত্যা এবং একজনের চোখ তুলে নেয়ার মিথ্যা প্রচারের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। নওশাবার পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন ইমরুল কাওসার।

উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার ওমেদার মোহাম্মদ হায়দার বিকালে এ বিষয়ে নওশাবার জামিন মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় নওশাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর পরে দুই দফায় জামিনের আবেদন করা হলে সিএমএম আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার গুজব ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগে উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।

পরদিন ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম নওশাবার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট তাঁকে আদালতে হাজির করে ফের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ফেসবুক লাইভে এসে নওশাবা উদ্ভ্রান্তের মতো বলতে থাকেন, এই মাত্র দুই জন ছাত্রকে হত্যা এবং একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। তিনি কথাগুলো এমনভাবে বলছিলেন যেন তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন।

কিন্তু নওশাবা কথা বলছিলেন উত্তরা থেকে আর তিনি ঘটনার কথা বলছিলেন জিগাতলার।

এই অভিনেত্রী সেদিন বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোটভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ ওদের প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট।’

নওশাবা আরও বলেন, ‘আমি এ দেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদের অ্যাট্যাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ প্লিজ ওদের বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখই নামবেন। আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এটা আমার রিকোয়েস্ট।’

‘যে পুলিশরা আছে, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের প্রটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে জনগণ কিসের জন্য আছেন আপনারা। আমরা ৭১-এ পেরেছি, ৫২-এ পেরেছি এবারও পারব। আমাদের দরকার নাই কাউকে।’

আটক হওয়ার আগে আবার ফেসবুক লাইভে এসে নওশাবা বলেন, তিনি ব্যবহৃত হয়েছেন। একজনের কথায় বিশ্বাস করে ওই লাইভে এসেছেন তিনি।

পরে র‌্যাবকে নওশাবা জানান, রুদ্র নামে একজনের কথায় তিনি ওই ফেসবুক লাইভে আসেন। ওই তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ৩ আগস্ট শাহবাগে।

তবে নওশাবা যার কথা শুনে লাইভে আসেন, সেই রুদ্রকে আটক করা গেছে কি না, তা এখনও জানায়নি পুলিশ। আর নওশাবার কাছ থেকে কী তথ্য উদঘাটন করা গেছে, সেটিও প্রকাশ পায়নি এখনও।

ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :