মুক্তি পেয়ে বাসায় ফিরলেন নওশাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৮, ২১:১০ | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩০

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় গ্রেপ্তার মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ ঈদের আগের দিন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় সেখানে নওশাবার স্বামী ও বড় ভাই উপস্থিত ছিলেন। কারাগারের সুপার মো. শাহজাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ২ অক্টোবর পর্যন্ত নওশাবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন অভিনেত্রী নওশাবার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে সোমবার জামিন আবেদনের শুনানিতে হুইল চেয়ারে করে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।

এরপর সোমবারই তাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার জামিন শুনানিতে নওশাবাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে এসে নওশাবা উদ্ভ্রান্তের মতো বলতে থাকেন, এই মাত্র দুই জন ছাত্রকে হত্যা এবং একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। তিনি কথাগুলো এমনভাবে বলছিলেন যেন তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। কিন্তু নওশাবা কথা বলছিলেন উত্তরা থেকে আর তিনি ঘটনার কথা বলছিলেন জিগাতলার।

এই অভিনেত্রী সেদিন ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোটভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন। প্লিজ ওদের প্রটেকশন দেন। বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন। প্লিজ আপনারা রাস্তায় নামেন এবং ওদের প্রটেকশন দেন। এটা আমার রিকোয়েস্ট।’

নওশাবা আরও বলেন, ‘আমি এ দেশের একজন মানুষ, নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি যে, জিগাতলায় একটু আগে একটি স্কুলে একটি ছেলের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একটু আগে ওদের অ্যাট্যাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ প্লিজ ওদের বাঁচান। তারা জিগাতলায় আছে। আপনারা এখই নামবেন। আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। এটা আমার রিকোয়েস্ট।’

‘যে পুলিশরা আছে, তারা অবশ্যই বাচ্চাদের প্রটেকশন দেন। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। সরকার যদি দায়িত্ব নিতে না পারে, তাহলে জনগণ কিসের জন্য আছেন আপনারা। আমরা ৭১-এ পেরেছি, ৫২-এ পেরেছি এবারও পারব। আমাদের দরকার নাই কাউকে।’

আটক হওয়ার আগে আবার ফেসবুক লাইভে এসে নওশাবা বলেন, তিনি ব্যবহৃত হয়েছেন। একজনের কথায় বিশ্বাস করে ওই লাইভে এসেছেন তিনি।

পরে র‌্যাবকে নওশাবা জানান, রুদ্র নামে একজনের কথায় তিনি ওই ফেসবুক লাইভে আসেন। ওই তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয় ৩ আগস্ট শাহবাগে।

ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় নওশাবাকে গত ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ।

এদিকে নওশাবা যার কথা শুনে লাইভে আসেন বলে দাবি করেছেন, সেই রুদ্রকে আটক করা গেছে কি না, তা এখনও জানায়নি পুলিশ। আর নওশাবার কাছ থেকে কী তথ্য উদঘাটন করা গেছে, সেটিও প্রকাশ পায়নি এখনও।

ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :