ত্যাগের উৎসব আমাদের পবিত্র করুক

আরিফুর রহমান
| আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৮, ২০:৫২ | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৮, ২০:৪২

বছর ঘুরে আবার এসেছে ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমান পশু কোরবানির মাধ্যমে ঘোষণা করবেন আল্লাহর প্রতি তার ভালোবাসা আর আনুগত্য।

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকাটাইমসের পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।

প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নযোগে আল্লার কাছ থেকে আদিষ্ট হন তার প্রিয়তম বস্তু উৎসর্গ করার জন্য। হজরত ইব্রাহিমের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন তার ছোট ছেলে ইসমাইল। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তিনি প্রিয় পুত্রকে কোরবানি দিতে উদ্যত হন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত ইব্রাহিমের ত্যাগের সদিচ্ছায় সন্তুষ্ট হয়ে ইসমাইলের পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি কবুল করেন।

প্রত্যেক মুসলমান যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দেবেন এটাই ইসলামের বিধান। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করে।

তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোরবানির বিধিবিধান সঠিকভাবে যেন পালন করি আমরা। কোরবানি যেন লোক দেখানো উৎসব না হয়ে ওঠে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কোরবানি হতে হবে শুদ্ধ নিয়তে। আসমানি কিতাব আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না এগুলোর গোশত ও রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।' (সূরা আল-হজ, আয়াত-৩৭)।

সাধারণত ১০ জিলহজ ঈদের জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে পশু কোরবানি করা হয়। তবে সেদিন সম্ভব না হলে পরের দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ তারিখ কোরবানি দেয়া যায়। কোরবানির গোসত বণ্টনের ক্ষেত্রে আমরা শরিয়তের বিধান মেনে চলব। এক ভাগ দরিদ্রদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ নিজের জন্য রাখব।

পশু কোরবানির পর আর একটি দায়িত্বের কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। যেখানে-সেখানে পশু জবাই ও কাটাকুটির কারণে পরিবেশ-দূষণের বড় আশঙ্কা থেকে যায়। আমরা যদি নিজ দায়িত্বে রক্ত ও বর্জ্য মাটিচাপা দেই তাহলে ওই আশঙ্কা থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।

রাজধানীসহ দেশের ১১ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি তারা করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করেন। ইতিমধ্যে সব কটি করপোরেশনে ২ হাজার ৯৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য। এর মধ্যে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৪৯ ও দক্ষিণে ৬২০টি স্থান রয়েছে। সেখানে প্যান্ডেলসহ আরও নানা সুবিধার বন্দোবস্ত থাকবে।

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোরও সচেষ্ট থাকতে হবে যত দ্রুত সম্ভব হাট ও পাড়া-মহল্লা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ সরিয়ে নিতে।

পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের সবার অন্তরকে পবিত্র করুক। ঈদ মোবারক।

লেখক: সম্পাদক, ঢাকাটাইমস ও এই সময়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা