কাটাকুটি ভাগাভাগির আনন্দের জন্য বাড়ির সামনে কোরবানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৮, ২১:৫৯ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৮, ১৯:১৩

যত্রতত্র পশু কোরবানি না করে নির্ধারণ করে দেওয়া কোরবানি দিতে রাজধানীর দুই সিটির উদ্যোগ প্রায় উপেক্ষা করল নগরবাসী। মাংস কাটাকুটিসহ ভাগাভাগির সুবিধার জন্য বাড়ির সামনে বা রাস্তায় পশু কোরবানি দিয়েছেন তারা।

কোরবানিদাতারা বলছেন, নির্ধারণ করে জায়গা ছোট আর দূরে হওয়ার কারণে বাড়ির সামনে বা আশেপাশে কোরবানি দেওয়াটা তাদের জন্য সুবিধার। ফলে ঈদের দিন সকাল থেকে দিনমান খোলা রাস্তায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে নগরজুড়ে।

অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েক বছর ধরে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে আহ্বান জানিয়ে আসছে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন। তবে এ জন্য দুই সিটির কোরবানিদাতাদের মধ্য থেকে সাড়া মিলেছে কম।

বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম ধার্মাবলম্বীরা পশু কোরবানি করেছেন। পশু কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন স্থান নির্ধারণ করে দেয়। তবে নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশু কোরবানি করতে অনীহা দেখা গেছে কোরবানিদাতাদের মধ্যে।

তাদের অভিযোগ, নির্ধারিত স্থান ছোট, বাসা থেকে দূরে হওয়ায় মাংস আনা নেওয়াতে অসুবিধা, এসব কারণে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলোতে না গিয়ে বাড়ির আশপাশে পশু কোরবানি দিতে হয়েছে।

এবার ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কোরবানি করার জন্য ৫৪৯টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব স্থানে দুই লাখ ৩২ হাজার পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। কোরবানির এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১১ হাজার বেশি।

রাজধানীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় মোহাম্মাদীয়া হাউজিং এলাকায়। প্রায় ত্রিশটির বেশি পশু কোরবানি করা সম্ভব এমন জায়গা রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে পশু কোরবানি হয়েছে মাত্র ছয়টি৷

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতি বছরের মতো পশু কোরবানি করেছেন যার যার বাসার সামনে। বাসা থেকে দূরে গিয়ে পশু কোরবানি করতে আপত্তি দেখা গেছে অনেক মানুষের মধ্যেই।

আদাবর এলাকার বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'আমার বাসা থেকে জায়গাটা দূরে। সেখানে গরু নিয়ে যাওয়া, মাংস কেটেকুটে আবার নিয়ে আসা বিশাল ঝামেকার বিষয়। এভাবে হয় না। তাই যাওয়া হয়নি। শুধু আমি না, আমাদের এখানকার কেউ যায়নি।'

যার যার কোরবানির পশু কোরবানি সবাই স্বপরিবারে দেখতে চায়। সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করা হলে সে সুযোগ অনেক ক্ষেত্রেই ম্লান হয়ে যায়।

ঢাকাটাইমসকে এমনটাই জানিয়েছেন কামরাঙ্গীচরের বাসিন্দা ইব্রাহিম। ঢাকাটাইমসকে ইব্রাহিব বলেন, 'ঈদের দিন মা, খালার সবাই থাকে। সবাই এক সাথে মাংস কাটা, ভাগাভাগি করা, সবাইকে পাঠানোর আনন্দটাই অন্য রকম৷ বাসা থেকে দূরে গিয়ে কোরবানি করে সেই আনন্দ কেন নষ্ট করব?'

ইব্রাহিম আরো বলেন, 'আমরা তো সরকারি জায়গা নোংরা করি না। যে যার বাসার সামনে পাইপ দিয়া পানি দিয়ে রক্ত, ময়লা পরিস্কার করে ফেলি। আমার বাসায় আমি থাকি, সামনে নোংরা থাকলে গন্ধ আমার নাকেও আসবে। এগুলো কি আমরা বুঝি না?'

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/কারই/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :