দ্বিতীয় দিনেও নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে অনীহা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৭ | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৮, ১৩:২৪

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীজুড়ে চলছে পশু কোরবানি। কুরবানি বিধান অনুযায়ী, তিন দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেয়া যায়। সেই অনুযায়ী আজও রাজধানীর অনেক স্থানে পশু কুরবানি দিচ্ছেন মুসলমানরা। ঈদের আগে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন রাজধানীবাসীকে অনুরোধ করলেও তাতে কোনো সাড়া মেলেনি।

গতকাল রাজধানীতে মানুষ নিজেদের সুবিধামতো পশু কোরবানি দেয়। কোরবানির দ্বিতীয় দিনেও যত্রতত্র পশু কোরবানি দিচ্ছেন নগরবাসী।

পশু কুরবানির জন্য ঢাকার উভয় সিটি করপোরেশন জায়গা নির্ধারণ করেছিল ৫৮৯টি। এসব স্থানে কুরবানির পশু জবাই করতে বেশ অনীহা দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বাঁশ, কাপড় দিয়ে সামিয়ানা তৈরি করে পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঈদের প্রথম দিন যেতেই ভেঙে ফেলা হয়েছে অধিকাংশ সামিয়ানা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেখেরটেক, শ্যামলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ অস্থায়ী পশু জাবাইয়ের নির্ধারিত সামিয়ানা খুলে ফেলা হয়েছে। একই অবস্থা হাজারীবাগ, রায়ের বাজার, কামরাঙ্গীচর ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায়।

বৃহস্পতিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির কোনো চিত্র চোখে পরেনি৷ এসময় সবাইকে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে যার যার বাসার সামনে।

নগরবাসীর দাবি, বাসা থেকে দূরে গিয়ে পশু কোরবানির প্রয়োজন নেই৷ কারণ সবার বাসার সামনেই পশু কোরবানি করা যায়। কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো সক্রিয় করার দাবি জানান রাজধানীবাসী।

নিজ বাসার সামনে ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিচ্ছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ড. শামসুল হুদা। ঢাকাটাইমসকে এই চিকিৎসক বলেন, ‘অন্যত্র পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হলো কেন?। আমি যদি বাসার সামনে কোরবানি দেই আর ময়লাটা যদি দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।’

ঈদের প্রথম দিনই পশু কোরবানি করেছেন সিয়ামুল ইসলাম। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমার সামনে কোনো ময়লা আছে? আমরা যারা কুরবানি দিয়েছি, ময়লা জড়ো করে রেখেছি। দাড়োয়ান ময়লা গাড়িতে দিয়ে দিয়েছে। আমাদের এখানে সবাই একই কাজ করেছে। রাস্তায় যে রক্ত জমে ছিল, তাও পানি দিয়ে পরিষ্কার করে পরে ব্লিচিং ছিটিয়ে দিয়েছি। পরিবেশ তো নোংরা হয়নি। অন্য জায়গায় কেন যাব?

তবে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে মেয়র সাঈদ খোকনের আহ্বানে নাগরিকরা বেশ সাড়া দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মাদ বিলাল। তিনি বলেন, নগরীর বর্জ্য অপসারণে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সজাগ রয়েছে। নাগরিকদের আমি অনুরোধ করব, তারা যেন যেখানে-সেখানে বর্জ্য না ফেলে নির্ধারিত কন্টেইনারে ফেলে।

ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/কারই/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :