ডিএনসিসির শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সফল বলে দাবি করেছেন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা। তিনি জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার দিন বুধবার রাত ১২টার মধ্যে গৃহস্থালীর বর্জ্যসহ জবাইকৃত সব পশুবর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে ডিএনসিসি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএনসিসির নগর ভবনে আয়োজিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ঈদ-উদুল আজহা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
জামাল মোস্তফা বলেন, ‘এ বছর কোরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন আমাদের প্রস্তুতি ছিল ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের। আর প্রথম দিন আট হাজার ৫০০ টন বর্জ্য হওয়ায় তা অপসারণে আমাদের ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি। এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি ডিএনসিসি পূর্বঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমাপ্ত করতে পেরেছে।’
ডিএনসিসি এলাকায় ঈদের দিন প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে বলে জানান প্যানেল মেয়র।
এবারের ঈদে ডিএনসিসি এলাকায় কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১৮৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাসিক কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত ৩৬৬টি জায়গাসহ মোট ৫৪৯টি স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশু কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থার কথা জানায় ডিএনসিসি। কিন্তু ডিএনসিসির নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি নগরবাসীর।
জনগণের এই অনীহার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্যানেল মেয়র বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে জনগণের সাড়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আশা করছেন ধীরে ধীরে এই ধারা আরও বাড়বে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানী পরিচ্ছন্ন কাজের বিষয়ে জামাল মোস্তফা বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এবং ভ্যান সার্ভিস-এর কর্মীরা মানুষের বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এবং কন্টেইনারে জমা করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বর্জ্যমুক্ত করেছে। ঈদের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে ৭, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডকে কোরবানি পশুর বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এরপর ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডকেও বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এসটিএস এবং নির্ধারিত স্থানে কন্টেইনারে বর্জ্য জমা হওয়ার পরপরই তা ল্যান্ডফিলে পরিবহনের কাজ শুরু হয় বলে জানান প্যানেল মেয়র।
এই সংবাদ সম্মেলনের আগ পর্যন্ত ওয়েব্রিজ ঢাকা অনুযায়ী ১ হাজার ৫৪৫টি ট্রিপে ৮ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পরিবহন করা হয়েছে বলে জানান প্যানেল মেয়র। তিনি বলেন, এই স্বল্পসময়ে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থায়ন এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন, তারেকুজ্জমান রাজিব, ডা. জিন্নাত আলী, দেওয়ান আব্দুল মান্নান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল প্রমূখ।
(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/এএকে/মোআ)