রম্য

তৈলবিষয়ক কথকতা

অরুণ কুমার বিশ্বাস
 | প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০১৮, ১২:০১

তেলের কী অদ্ভুত মহিমা সেই বিষয়ে বোধকরি আমাদের সকলের অল্পবিস্তর জানাশোনা আছে। সেই যে কবে মহামতি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীজী কালির দোয়াতে কলমের নিব চুবিয়ে তেলের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন, তারপর থেকে দরকারে-অদরকারে আমরা এই স্নেহ জাতীয় বস্তুটির ব্যাপক এস্তেমাল করে আসছি। শুধু অফিস-আদালতে নয়, বরং আজকাল ঘরের ভেতরেও এই জিনিসের বেশুমার ব্যবহার হয়ে থাকে। তেলে শুধু আগুন জ¦লে এমন নয়, তেলে আগুন নেভেও।

এই যেমন ধরুন আপনার নবপরিণীতা সুবেশা সুশ্রী বধূটি কোনো কারণে আপনার ওপর খেপে আগুন হয়ে আছেন, যাকে বলে রেগে কাঁই বা রাগে চটিতং। সেই আগুন নেভাতে গেলেও তেল চাই। আপনাকে কষে তার দু ঠ্যাঙে তেল মাখাতে হবে। তবে তার আগে তেলের ব্যবহারবিধি ঠিকঠাক জেনে নেয়া সমীচীন। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে স্নেহের ব্যবহারে তারতম্য থেকে থাকে। বস্তুত, এসব পুরনো কথা। সময়ের সাথে সাথে তেল, তেলের উৎপত্তি ও ব্যবহারে নতুনত্ব এসেছে। আসতে হবে। কেননা মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। তেলই বা নয় কেন! তৈলমর্দনেও বেশ নতুনত্ব এসেছে।

কিন্তু আদতে এই তেল মেলা ঝুটঝামেলাও তৈরি করে থাকে। এই দেখুন না, তেলের কারণে বেচারা বাচ্চালোগ কেমন মুসিবতে ফেঁসে গেছে। তেল আছে বলেই তৈলাক্ত বাঁশের অঙ্কও আছে। সেই তেল-চুপচুপে বাঁশ বেয়ে চতুর বানরটি কতক্ষণে বাঁশের আগায় উঠবে সেই হিসাব কষতে কষতে ছাত্রছাত্রীর জান জেরবার। ওরা নিশ্চয়ই ভাবছে তেল বস্তুটি দুনিয়াতে না থাকলেই ভালো ছিল। না হয় তেল-নুন ছাড়াই ভর্তা-ভাজি দিয়ে ভাত মেখে খেতুম। নইলে স্রেফ গ্রিল-চিকেন!

কিন্তু আপনি আমি না চাইলেই তো আর পৃথিবী থেকে তেল উধাও হবে না। তেল বস্তুটি বড়ই সরেস ও দরকারি। বসের টাকে ও হাতেপায়ে তেল না মাখালে পদায়ন পদোন্নতি এসব হবে ভেবেছেন! কিংবা ধরুন টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন, কাজটা পেতে চান। না না, কাগজপত্রে কিছু ঘাটতি নেই, তাই বেশ নিশ্চিন্তে ভরপেট খেয়ে ভাতঘুম দিলেন। কিন্তু ওদিকে টেন্ডার পেল অন্যজন। কেন কেন, কীভাবে এমন হলো! ওই যে, আপনি সবকিছু জমা দিয়েছেন, কিন্তু কর্তাব্যক্তিকে কিঞ্চিত তেল মালিশ করতে ভুলে গেছেন।

যাদের কপালে স্রষ্টা ব্যক্তিগত গাড়ি চড়ার সুযোগ রেখেছেন তারা বিলক্ষণ জানেন, গাড়ির ইঞ্জিন চালু রাখার জন্য মাসে মাসে কত টাকার কত রকম তেল ঢালতে হয়। ডিজেল পেট্রলের হিসাব তোলা থাক, এর বাইরেও নানারকম তেল না হলে গাড়ি ঠিকঠাক চলে না, জিরিয়ে জিরিয়ে চলে, প্রায়ই হাঁচে কাশে, বড্ড বেগড়বাই করে গাড়ির ইঞ্জিন মহোদয়। শেষে বাধ্য হয়ে চালকের ইশারায় বালকের মতো গাড়ির ইঞ্জিনে মবিল, গিয়ার অয়েল, ব্রেক অয়েলসহ আরো কয়েক পদ তেল ঢেলে তবে ইঞ্জিনের মান ভাঙাতে হয়।

চলুন এবার খানিক অফিস ঘুরে আসি। তেল সবাই খায়, সকলেই মাখে, তবে দাপ্তরিক কাজেকর্মে তেলের মাজেজাই আলাদা। তেল না হলে ফাইল দূরে থাক, বড়বাবু ছোটবাবুর ধ্যানই ভাঙবে না। আর তাদের ধ্যান না ভাঙলে আপনার-আমার দরকারি নথিটি ঊর্ধ্বগামী কী করে হবে! কিংবা উঠলেও ইঁদুর-ধরা কলের মতো নথি উপরেই লটকে থাকবে, নিচে আর নামবে না। ওই যে, তেলের তেলেসমাতি!

তেলের রকমসকম কিন্তু সবখানে একরকম নয়। অবস্থা ভেদে ব্যবস্থা নিতে হয়। কেউ ক্যাশে খায়, আবার কেউ কেশেও খায়, মানে ইশারা ইঙ্গিতে। সরাসরি বলবে না, নতুন বধূটির মতো মুখে কুলুপ এঁটে থাকবে। আপনি সমঝদার লোক হলে আপসে বুঝে যাবেন। কথায় বলে, বুঝমান কে লিয়ে ইশারাই কাফি হোতা হ্যায়। আর যারা বোকা-বেবুঝ তারা এসব উচ্চাঙ্গ নি¤œাঙ্গ মিউজিক না বুঝে তেলের কাজ পানিতে সারতে চায়। ফলে খায় ধরা। কাজ তো হয়ই না, উল্টো কাজ যা কিছু পেন্ডিং ছিল তাও আটকে যায়।

কেউ হয়তো বলবেন, না না, আমাদের স্যার সহৃদয় মানুষ, তিনি তেলটেল বিশেষ খান না। তিনি কিঞ্চিত সুপুরি আর পানমশলা খান। আপনি বোকা হলে খুশিতে বগল বাজাতে বাজাতে বাসায় যাবেন, আর যিনি বুঝমান তিনি বসের রুমে ঢুকে গলা খাঁকরে বলবেন, স্যার, আপনি কত ভালো! কত মহান লোক আপনি। আপনার কোনোরকম বদ নেশা নেই। শুধু একটু সুপুরি চাখেন। কিন্তু স্যার, মিছে কেন কষ্ট করছেন বলুন তো! সুপুরিতে খানিক মিষ্টতা মেশালে কেমন হয়?

সে কী রকম শুনি! বস হয়তো আলতো হেসে বলবেন। তিনি মোটেও মুখ ব্যাদান করবেন না, কারণ তাতে বসসুলভ সুমহান গাম্ভীর্যের হানি হয়।

আপনি নিজের পকেট থেকে চমন বাহারের দুটো পুরিয়া বের করে বলবেন, নিন না স্যার, এটুকু মেখে নিন। সুপুরিতে আমেজ আসবে। আমি নিত্য খাই।

বস হাত বাড়িয়ে মশলার পুরিয়া নিলে ভালো, না নিলেও দোষের কিছু নেই। দেখবেন বসের মুখে হাসির রেশ লেগে রয়েছে। তিনি আপনার রুচির প্রশংসা করছেন। নিঃশব্দে। এই ফুরসতে টুক করে আপনি কাজের কথাটি পেড়ে ফেলবেন। যাকে বলে ঝোপ বুঝে কোপ মারা।

আগেই বলেছি তেল হরেকরকম হয়। কেউ খায় ব্যারেলে, কেউ খায় বোতলে, আবার কেউ হয়তো লুকিয়ে চুরিয়ে চায়ের মতো করে একটু চুমুক দেয়। সবার রুচি-পছন্দ তো আর সমান নয়। তবে আপনি যদি মৌখিক তেলে সুবিধা করতে পারেন তাহলে খরচ বাঁচবে। মানে বসের মেজাজ-মর্জি বুঝে তার চেহারা-সুরতের খানিক প্রশংসা করে নিলেন। মাথায় হোক না টাক, যেন দুর্গা পুজোর ঢাক, আপনি বলবেন যে টাকে কী এসে যায়। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার যেমন বলেছেন, হোয়াটস ইন অ্যা নেম! বাবড়ি চুলের চেয়ে বরং ক্লিন টাক ভালো, যেমন ক্লিন শেভ। ভুলেও যেন আবার আবেগের বশে বসের টাককে মদনটাক পাখির সঙ্গে তুলনা করবেন না। তাতে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে, একটু ভুলের জন্য জায়গায় ব্রেক। কাম তামাম।

যদি তিনি লেডি হন তাহলে তার পোশাকের প্রশংসা করবেন, তারপর তার স্কিন, এও বলতে পারেন যে তাকে দেখে মনেই হয় না তিনি এতদিন ধরে জব করছেন, এত বড় পদে আসীন তিনি। সোজাসুজি তৈলমর্দনের চেয়ে ওটা অ্যাঙ্গেলে মারা ভালো। এই ধরুন প্যারিস্কোপের মতো, ফরটি-ফাইভ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে। মহিলা বুঝমান হলে বুঝে যাবেন যে আপনি তাকে বয়সের তুলনায় ইয়াং দেখছেন। আপনার চোখে জাদু আছে। আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, দু চার বছর বয়স কমাতে পারলে মহিলারা যতখানি খুশি হন, আর কিছুতেই তা হন না।

যদি এও বলেন যে ম্যাম, আপনার হাসি তো মুম্বাইয়ের ঋদ্ধিমান সুপারস্টার ঋত্বিককেও হার মানায়, তাতে ততখানি খুশি তিনি নাও হতে পারেন। কারণ এই একটা জায়গায় মহিলারা বড্ড স্বার্থপর। নিজে বাঁচলে তবে বাপ কিংবা স্বামীর নাম। তাই সুযোগ বুঝে তার বয়স, গায়ের রং, স্কিনের টেক্সচার এসব নিয়ে কথা বলুন। তবে দেখবেন, তেল বেশি মারতে গিয়ে তাকেসুদ্ধ আবার হড়কে যাবেন না যেন। জানেন তো, এক্সেস অফ এনিথিং ইজ পয়জন। এটা আমার কথা নয়, স্বয়ং চাণক্য প-িত বলেছেন।

কিছু কিছু লোক দেখবেন, বড্ড বেরসিক। কিছুতেই তাদের খুশি করা যাচ্ছে না। মানে জন্মের পরে মা তাকে মধু দূরে থাক, পানিও ছোঁয়ায়নি। তাই সে তেল-জল-নারকেল কিছুতেই খুশি নয়। অথচ তাকে আপনার বাগে আনা দরকার। ঘাবড়াও মাত। ইঞ্জিনÑ সে টায়ার হোক বা রেলগাড়ি, তেল কিছু না কিছু খাবেই। তবে বুঝেশুনে মওকামতো তেল মারতে হবে। আপনাকে জানতে হবে, কবে কখন কতটুকু তেল মারবেন। ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ স্টাইলে তেলা মারা একদম ঠিক নয়। ওটা ছুতোর মিস্ত্রির কাজ, আপনার নয়। আপনাকে শিল্পসম্মত উপায়ে তেল ঢালতে হবে। কারণ যে তেল খায়, তার খানিক লাজলজ্জার বালাই থাকলেও থাকতে পারে। একেবারে বেহায়া হয়তো নয়।

সেই বেরসিক লোকটাকে কিছুদিন নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণ করুন। তারে পিছে লেগে থাকুন। না না, ভদ্র মহিলাদের আবার পিছে লাগতে যাবেন না যেন, বড় মাপের কেস খেয়ে যাবেন। স্ত্রীলিঙ্গ হলে তার সামনে লেগে থাকুন, কাজে দেবে। জানেন তো, সব রোগের এক দাওয়াই হয় না। যারা এই কাজ করে তারা হয় কবরেজ, নয়তো ফুটপাতে টিয়াপাখি নিয়ে বসা ভুয়া জ্যোতিষী।

কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন ওই বেরসিকের কিছু একটা ব্যাপারে কিঞ্চিত আগ্রহ আছে। ব্যস, ফুটো পেয়ে গেলেন। এবার কাজে নেমে পড়–ন। ঢালুন তেল। যদি এমন হয় যে তিনি অ্যাঙ্গলিং মানে ছিপ দিয়ে মাছ শিকারে আগ্রহী, তাহলে শুরুতেই তার শখের ভূয়সী প্রশংসা করুন। এই দিয়ে শুরু করেন যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনেরও ছিপ দিয়ে মাছ মারার অভ্যেস ছিল। এটা খুব উঁচুমার্গীয় শখ। শুধু মাছ বলে নয়, পানিতে ছিপ ফেলার কিছু সুবিধাও রয়েছে। খোলা হাওয়ায় মস্তিষ্ক খুলে যায়, শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা হয়, সেই সাথে মাছের সাথে বসে জলকেলিও দেখা যায়।

এভাবে দুচার কথা বললেই বুঝে যাবেন, বেরসিকের ফুটোর গভীরতা কত। শুরুতে বেশি ঢালার দরকার নেই, তাতে তেলে উপচাবে, মিছে টাকা নষ্ট। ফুটোর ডেপ্থ বুঝে আস্তে আস্তে অগ্রসর হন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু একমাপের তেলখোর নয়। কেউ কেউ আছে একটু বেশি স্বাস্থ্যসচেতন, তাই বুঝেশুনে তেল খায়। বিলাইয়ের মতো চুকচুক করে, আবার কেউ আছে কুকুরের মতো ঢকঢক করে খায়। আবার বাঘের মতো হালুমহুলুম করেও খায় কেউ কেউ। ওরা সব রামখাদক। তাদের জন্য ফিডার কিংবা বালতি নয়, বরং তাগাড়ির ব্যবস্থা করুন। জমবে ভালো।

এবার তৈলবীজের কথা একটু বলি। বুঝতেই পারছেন, এই রচনায় নেহাতই উপমা উৎপ্রেক্ষা হিসেবে তৈলবীজ শব্দটি এসেছে। যাহাতে তেল থাকে তাহা তৈলবীজ। তিল, তিসি, সর্ষে তেলের খুব ভালো উৎস। আবার ফুল-ফল থেকেও তেল হয়। যেমন সূর্যমুখী ও জলপাই মানে অলিভ। তেলখোরের কথা অনেক হলো, এবার মনুষ্যজাত তেলের কথায় আসি। তিল, তিসি বা সর্ষে থেকে যেমন তেল উৎপন্ন হয়, তেমনি কিছু মানুষ আছে যারা কি না তেলের অঢেল উৎস হতে পারে। এদের তেলের মাঝে বসবাস, তেলে বেড়ে ওঠা, তেল খায় ও তেল দেয়। বিনা প্রয়োজনেও এরা তেলমর্দন করে থাকে। কারণ এরা হ্যাবিচুয়াল তেলবাজ। সত্যি বলতে, এই শ্রেণির মনুষ্য যারা তারা দেখতেও বেশ তেলতেলে। হতেই হবে। যার দাঁতে পোকা তার কাছ থেকে কেউ দাঁতের মাজন কিনবে না। সেই রকম তেলতেলে দেখতে না হলে বড় মাপের তেলখোর তাতে দাঁত বসাবে কেন!

আবার যারা প্রফেশনাল তেলবাজ, তারা বুঝেশুনে আস্তে ধীরে তেল মারে। আর যারা এই ক্ষেত্রে নবিশ কিংবা অ্যামেচার তারা অকারণ তেল নষ্ট করে। দু ফোঁটার জায়গায় ৯ ফোঁটা দিয়ে বসে। তাতে কাজ তো হয়ই না বরং গুচ্ছের টাকার শ্রাদ্ধ করে ফেলে। কেননা, তেলের দাম আছে, তেলবীজ মূল্যহীন নয়। আদতে তেল বস্তুটি তত মন্দও নয়, শুধু একটু বুঝেশুনে এস্তেমাল করতে হয়- এই আর কি! আপনার হাতে আংটি আটকে গেছে, দু ফোঁটা ঘষে নিন, দেখবেন আংটি গড়িয়ে বেরিয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, চাইলে একটুখানি তেল গুহ্যদ্বারে ব্যবহার করে দেখতে পারবেন, নিমিষেই মুক্তি।

তেলে শক্তি, তেলেই মুক্তি। আবার তেলেই বিরক্তি। যাচ্ছেন নতুন আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে, বাসে চেপেছেন। ইঞ্জিনের তেল লিক করে লেগে গেল পাছায়। কী বিশ্রী ব্যাপার ভাবুন! তেলের দাগ সহজে ওঠে কি!

পুরনো প্রবাদ, মানুষ মরে মেলে, গরু মরে তেলে। গরুর গায়ে তেল বাড়লে আচমকা দাপিয়ে মরে। ইদানীং অবশ্য মানুষও মরছে। দেহে তেল বেশি জমলে হৃৎপি- বেগড়বাই করে। চর্বিবহুল শরীর মানেই রোগের পিপে। তাই বলি কি, যারা তেলখোর আছেন, তেল একটু আস্তে ধীরে খান। নইলে অকালে টেঁসে যাবেন। যার তার সাথে মিশবেন না, মানুষ মরে মেলে অর্থাৎ দুষ্টুলোকের সঙ্গ প্রায়শ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সম্প্রতি জনৈক মন্ত্রী কথায় কথায় হাসতে গিয়ে প্রায় পদ খুইয়েছেন। হাসিও তেলের একরকম মাধ্যম বৈকি। তেল মারবার শুরুতে তেলতেলে হাসি দিতে হয়। তাই দিয়েছিলেন মন্ত্রী মহোদয়, কিন্তু তার সময় মন্দ, সামনে মিডিয়ার ফোকাস দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি। সব কিছুরই একটা যুতসই সময় কিংবা টাইমিং আছে। অকারণ হাসলে, অসময়ে তেল ঢাললে পথ তো পিচ্ছিল হবেই। সেই পথে হাঁটা যায় না, উষ্ঠা খেতে হয়। তাই আবারও বলি, তৈলবীজে তেল থাকে বেশ, তেলের দরকারও আছে, কিন্তু মিছেমিছি তেল ঢালবেন না। রয়েসয়ে দম নিয়ে তারপর ঢালুন, মুফতে কাজে দেবে। নইলে সেই অঙ্ক বইয়ের বানরের মতো তৈলাক্ত পথে বেশি দূর এগোতে পারবেন না। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই বেমক্কা হড়কে যাবেন। তাই সাধু সাবধান। বুঝেশুনে তেল দিন।

অরুণ কুমার বিশ্বাস, কথাসাহিত্যিক ও রম্যলেখক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :