সিলেটে চামড়ায় লোকসানের আশঙ্কা, অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা
ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া আটকে থাকায় ‘পুঁজির অভাবে’ সিলেটে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চামড়াই সংগ্রহ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। আর যে পরিমান চামড়া কিনেছেন তার দাম কম হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ জানান, এবার সিলেটে এক লাখ পিস পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সংগ্রহ করা গেছে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ হাজার পিস চামড়া। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে পুঁজির সংকট।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা নেই। তিন বছর ধরে আড়তদারদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। কিন্তু এবার মাত্র ৩০ শতাংশ পাওনা আদায় সম্ভব হয়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করতে না পারায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে নিয়ে গেছেন।
শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাহিন আহমদ বলেন, কয়েক বছর ধরেই চামড়া ব্যবসায়ীদের দুর্দিন চলছে। তিন বছর ধরে আড়তদারা বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না। এবার চামড়ার দাম খুবই কম। চামড়া কিনে লবনজাত করে বিক্রি করে অনেক ক্ষেত্রে লোকসান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের অন্তত ৩০০ চামড়া ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশিরভার এবার ক্ষতির আশঙ্কায় চামড়া সংগ্রহ করেননি। লবনের দাম গত বরের চেয়ে প্রতি মনে মাত্র ১০০ টাকা কমেছে। তাই চড়াদামে লবন কিনে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে নগরীর ঝলোপাড়া এলাকায় চামড়া পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা চামড়া প্রক্রিয়াজাত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে রাখলেও শ্রমিক খরচসহ আনুষাঙ্গিক সব খরচ শেষে লাভের মুখ দেখা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
চামড়া ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, ‘আড়তদারদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। টাকা চাইলে তারা নানা অজুহাত দেখান। এবার সামান্য টাকা পাওয়া গেছে। ব্যংক ঋণ ও ধার-দেনার টাকায় কিছু চামড়া সংগ্রহ করেছি। কী করবো ব্যবসাতো টিকিয়ে রাখতে হবে।’
স্থানীয়রা জানান, এদিকে এবার সিলেটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। ফুট হিসেবে নয় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনেছেন আকার ভেদে। প্রতিটি গরুর চামড়া ১৫০টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০টাকা দরে কিনেছেন তারা।
(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/এমএ/ওআর)