শিশুদের স্কুলব্যাগ কেলেঙ্কারি, ১৫ বছর পর তিনজনের সাজা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ সরবরাহের অর্থ আত্মসাতের মামলায় তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিই পলাতক।
মাহমুদ হোসেন জানান, আসামিদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ওই প্রকল্পের সাবেক অফিস সহকারী মো. মাহফুজ হোসেন ভূঁইয়াকে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের তিনটি ধারায় মোট ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো সাড়ে পাঁচ বছর কারাভোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওই প্রকল্পের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্যকে দুটি ধারায় মোট ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তবে বিভিন্ন ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে সব মিলিয়ে মাহফুজকে ১৪ বছর এবং প্রদীপকে ১০ বছর সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী।
মাহমুদ হোসেন আরো জানান, জালিয়াতিতে সহযোগিতার দায়ে মো. আবুল কালাম আজাদ নামের আরেক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া প্রকল্পের পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ সরবরাহের জন্য ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে ওই প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিল ভাউচার ও কাগজপত্র দেখিয়ে এক কোটি আট লাখ ছয় হাজার ৫৯১ টাকা আত্মসাত করেন আসামিরা।
ওই অভিযোগে ২০০৩ সালের ২১ অক্টোবর মিরপুর থানায় মামলা করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন উপপরিচালক হোসনে আরা বেগম।
পরে দুদকের উপপরিচালক শেখ মোহাম্মদ ফানাফিল্লাহ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শুনে বিচারক এ মামলার রায় দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/ডিএম