ডাক্তারের স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা, চিকিৎসা পেলেন না আ.লীগ নেতা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০১ | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৮, ২১:৪১

কুষ্টিয়ায় হামলায় আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকায় একটি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন ওই আওয়ামী লীগ নেতার স্বজনরা।

ভুক্তভোগীর নাম হাফিজুর রহমান খান। তিনি কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওই ওয়ার্ডের শালঘর মধুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

হা‌ফিজুর ঢাকাটাইমসকে বলেন, তার ওপর হামলায় ঘটনায় করা মামলার এজাহারে কুষ্টিয়া শহরের একজন চিকিৎসকের নিকটাত্মীয়ের নাম থাকায় হাসাপাতালে ভর্তি করেও চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে সেরে গেছেন বলে হাসপাতাল থেকে ছাড় করে দেয়।

হাফিজুর বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরের একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে চি‌কিৎসা নিচ্ছেন। আর সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে এক পায়ের হাড় পুরোপুরি ভেঙে গেছে। অথচ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কিছুই বলেননি।

স্বজনদের অভিযোগ, গত ২১ আগস্ট স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের যুবকরা বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া বাজারে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। এ সময় হাফিজুর কয়েকজন যুবককে মোটরসাইকেলসহ আটক করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয় যুবকরা। আর ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে হাফিজুরের ওপর হামলা হয় শালঘর মধুয়া বাজারের কাছে।

১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হাফিজুরকে। আর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়ার পর দ্রুত হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়।

সেখানে কোন রকম পরীক্ষা নীরিক্ষা ছাড়াই পায়ে কয়েকটি সেলাই দিয়ে রাখা হয়। পর দিন শুক্রবার হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রাজিবুল হাসান ওই রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেন।

কিন্তু হাফিজুরের আঘাত তখনও গুরুতর আর এ কারণে স্বজনরা তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নেন। সেখানে সরকারি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নাজমুল হুদা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, হাফিজুরের ডান পায়ের হাড় পুরোপুরি ভেঙে গেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চিকিৎসক রাজিবুল হাসান বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের করা অভিযোগ সঠিক নয়। রোগীর সাথে কথা বলেই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রোগী শুধু পায়ে ব্যথার কথা বলেছেন, এজন্য ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সে কারণে এক্সরে করার প্রয়োজন বোধ করিনি।’

ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :