ধীরে স্বরূপে ফিরছে রাজধানী

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৮, ২৩:১৯
ফাইল ছবি

ঈদের ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকা। পথেঘাটে মানুষের আনাগোনা, সড়কে গাড়ি চলাচল, অফিস-আদালতে চাকরিজীবীদের উপস্থিতি বাড়ছে। এর মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরছে রাজধানী ঢাকা।

গত ২২ আগস্ট উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। এরপর কেটে গেছে পাঁচ দিন। ইতিমধ্যে অনেকে ফিরেছেন, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আরও মানুষ ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে ফিরছে রাজধানীতে।

নানা জনের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা যাচ্ছে, ঢাকা তার পুরনো চেহারা ফিরে পেতে চলতি সপ্তাহের বাকি কদিন শেষ করে আগামী রবিবার লেগে যাবে। তবে এখন পুরোদমে চেনা রূপে রাজধানীকে না দেখা গেলেও প্রায় কর্মব্যস্ত হয়ে উঠছে ঢাকা।

রবিবার অফিসপাড়ায় কর্মজীবীদের আনাগোনা কিছু কম থাকলেও আজ সোমবার চাকরিজীবিদের একটি বড় অংশ কাজে যোগ দিয়েছেন। সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি খুলেছে বেশ কিছু বেসরকারি অফিস। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ফিরে এসেছেন।

আজ সকালে অফিসমুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে রাজধানীর নানা সড়কে। ব্যস্ততার ছাপ দেখা গেছে অফিসপাড়ায়। বিভিন্ন বিপণিবিতানে দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।

গত দুই দিনের তুলনায় আজ সকালে গাড়ির চাপ ছিল মহাখালী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, মতিঝিল সড়কে। একই চিত্র দেখা গেছে উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও এয়ারপোর্ট সড়কে। এ সময় ছোট থেকে মাঝারি মাত্রার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু ট্রাফিক সিগন্যালে।

তবে রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম। যানজটও তার প্রাত্যহিক রূপ পায়নি।

ঈদের ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের বড় অংশ ফিরে এসেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি বেসরকারি অফিস-কারখানা, শহরকেন্দ্র ও পাড়া-মহল্লার দোকানপাটের অধিকাংশ খোলেনি। এগুলোর কর্মচারীসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষের বেশির ভাগ এখনো রাজধানীর বাইরে। তাদের অনেকে মাস শেষ করে আসবেন বলে জানান ফিরে আসা শ্রমিকরা।

তারা জানান, মাসের শেষ দিকে কাজের পরিমাণ কম থাকে। তাই ছুটিতে যাওয়া শ্রমিকরা এ সময়টা গ্রামেই কাটাবেন। মাস শেষে শুক্র-শনিবার ফিরবেন তারা।

ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা সবুজ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থাকেন তিনি। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল মেকার সবুজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমগো কারখানায় আমরা ২০ জনের মতো আছি। সবার ছুটি ২৮ তারিখ পর্যন্ত। কেউ কেউ আরও এক-দুই দিন ছুটি কাটাইয়া আইব।’

বিসমিল্লাহ রেফ্রিজারেশনের মালিক মো. মিজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পোলাপানরে ছুটি দিছি ঈদের দুই দিন আগে। দুজন ছিল ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। শনিবার সবগুলার আসার কথা। এখনো কারোই খোঁজ-খবর নাই। আমার দোকানও বন্ধ।’

মিজান আরো বলেন, ‘শুধু আমার না, আমাদের এই লাইনের যারা আছে, প্রায় সবারই একই অবস্থা। পোলাপান সব হয়তো মাস শেষ করেই আসবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :