এশিয়ায় আড়াই লাখ পাইলটের নতুন চাকরি
উড়োজাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বোয়িং পূর্বাভাস দিচ্ছে যে, আগামী দুই দশকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হাজার হাজার পাইলট, টেকনিশিয়ান এবং কেবিন ক্রু দরকার হবে। সেখানে এত বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে যে, মানুষের বিমান ভ্রমণ অনেক বাড়বে।
বোয়িংয়ের হিসেবে ২০৩৭ সাল নাগাদ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই লাখ ৪০ হাজার পাইলট এবং তিন লাখ ১৭ হাজার কেবিন ক্রুর চাহিদা তৈরি হবে। এদের অর্ধেকেরই চাকরি হবে চীনে।
এই অনুমান যদি সঠিক হয়, সেটি বিমান পরিবহন খাতে দক্ষ জনশক্তির সংকট আরও তীব্র করে তুলবে। কারণ এখনই যথেষ্ট দক্ষ পাইলটের ঘাটতি রয়েছে।
বোয়িং হিসেব করে দেখেছে কেবল চীনেই দরকার হবে এক লাখ ২৮ হাজার ৫০০ পাইলট। আর দক্ষিণ এশিয়ায় দরকার হবে ৪২ হাজার ৭৫০ জন পাইলটের। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৪৮ হাজার ৫০০ পাইলটের প্রয়োজন পড়বে।
বোয়িং নিজেই একটি পাইলট তৈরির কর্মসূচি চালায়। কিন্তু তারা যে পরিমাণ পাইলট প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে, সেটি এই খাতের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বোয়িংয়ের ট্রেনিং অ্যান্ড প্রফেশনাল সার্ভিসেস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কিথ কুপার বলেন, পুরো অঞ্চলে পাইলটের চাহিদা বাড়তেই থাকবে এবং এবং আগামী কয়েক বছর ধরে তা চলবে।
বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, যদি যথেষ্ট পাইলট তৈরি করা না যায়, বিমান পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে।
বোয়িংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ ডেনিস মুইলেনবার্গ বলছেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেটা উড়োজাহাজ নির্মাণের খরচ বাড়াতে পারে। তার মতে বিমান পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি অনেকখানি নির্ভর করে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর। সূত্র: বিবিসি
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/একে/জেবি)