শহীদুলের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে।
শহীদুল আলমের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আজ আবেদনটি শুনানির জন্য আরজি জানানো হয়। তবে আদালত এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত দাখিল করতে বলেছে। আগামী সপ্তাহে আবেদনটি শুনানির তালিকার শীর্ষে থাকবে।
আইনজীবী জানান, এই মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহীদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহীদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় আমরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছি।
গত ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরদিন ৬ আগস্ট শহীদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহীদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।
এরই মধ্যে শহীদুল আলমের সমর্থনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ খ্যাতিমান একাধিক লেখক-বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দেন। পেন ইন্টারন্যাশনালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। সর্বশেষ আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এমএবি/জেবি)