কটূক্তির মামলা করে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০৯:০৭ | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০৮:১০
আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান মুন্না

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে মামলা করে এখন বাংলাদেশ সরকার বা দূতাবাসের কোনো সমর্থন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মুন্না।

তিনি বলেছেন, এতে মামলা থেকে সিফাত উল্লাহর রেহায় পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি দেশে এসে নিজের জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন তিনি।

বুধবার ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপে এ আশঙ্কার কথা জানান মেহেদি হাসান।

গত ২০ আগস্ট জার্মান বোন পুলিশ স্টেশনে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

মেহেদী হাসান মুন্না ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক ও ইউটিউবে বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন সিফাত উল্লাহ। একজন বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু প্রেমিক হিসেবে আমি আদর্শের জায়গা থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জার্মান পুলিশ অস্ট্রিয়া পুলিশকে নোটিশ করেছে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’

ফেসবুক ও ইউটিউবে এই সময়ে একজন আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তির নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। তিনি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বেপরোয়া কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন ভার্চুয়াল জগতে। অস্ট্রিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশির এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত তার পরিবারও। তাদের দাবি, সিফাত উল্লাহ মানসিক রোগে আক্রান্ত।

সিফাত উল্লাহর স্ত্রী বলেন, ‘২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন সিফাত। তারপর থেকে পরিবারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন তিনি। বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। উনি সিজোফ্রেনিয়া রোগী। তার এমন আচরণ কেমন লাগছে আমরা জানি। বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছেন তিনি।’

মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘সিফাতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবার সময় এসেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার যদি আমাকে বা আমার আইনজীবীকে সহযোগিতা না করে তাহলে সিফাতুল্লাহর রেহায় পাওয়ার সুযোগ রয়ে গেছে। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৭ বার কল করেছি, কিন্তু রাষ্ট্রদূতকে পাইনি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাহায্য চেয়েও পাচ্ছি না।’

মামলার পরে সব কাগজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও দূতাবাসে মেইল করে এবং টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন জানিয়ে মেহেদি বলেন, ‘দুই জায়গায় সাহায্যের জন্য বলেছিলাম। তখন তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু এখন কোনো সহায়তা পাচ্ছি না।’

মেহেদি বলেন, ‘এসব মামলায় রাষ্ট্র বা নিজ দেশের দূতাবাসের একটি লিখিত সমর্থন দেখাতে হয়।’

এ সময় তিনি মালয়েশিয়ায় এ ধরনের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন। সম্প্রতি আসাদ পংপং নামে এক বাংলাদেশি বেপরোয়া ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়েছিলেন ফেসবুকে। তাতে বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করায় তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ।

মেহেদি বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আসাদ পংপং গ্রেপ্তারের আগে একটি লিখিত সমর্থন দেখানো হয়েছিল যে সে দেশের বিরুদ্ধে বা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা ছড়াচ্ছে। আর ওই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমি সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করে এখন কেন সরকার কিংবা দূতাবাসের সাহায্য পাচ্ছি না বুঝতে পারছি না।’

সাম্প্রতি দেশে ফেরার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘মামলা করে আমি নিজেই এখন জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছি। ভয় হচ্ছে দেশে এলে যদি আমার ক্ষতি হয়।’

(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :