যুবলীগ নেতা হত্যায় ধর্মমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতা আজাদ শেখের হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর থানায় মামলা হয়েছে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের ছেলে ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তসহ ২৫ জনকে এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার গভীর রাতে এই মামলা গ্রহণ করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
নিহত যুবলীগ সদস্য সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ ওরফে আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু মামলার বাদী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম।
ময়মনসিংহের আকুয়ায় গত ৩১ জুলাই কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় যুবলীগ নেতা আজাদকে।
এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলেও অধিকতর তদন্ত ছাড়া মামলা গ্রহণ সম্ভব নয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
মামলার বাদীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেন আ্যাডভোকেট আফিল উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলার এজাহার গ্রহণ করতে আদেশ দেন কোতয়ালী পুলিশকে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেন।
আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে এই মামলা গ্রহণ করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, রাস্তা অবরোধ, মৌন মিছিল, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আজাদের সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, নিহত আজাদ শেখ আগে ধর্মমন্ত্রীপুত্র শান্তর সমর্থনে রাজনীতি করতেন। কিন্তু শান্ত তাকে টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসা করতে বললে আজাদ গ্রুপ বদল করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু গ্রুপে যোগ দেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত তাকে হত্যা পরিকল্পনা করেন এবং তার নির্দেশেই সমর্থক সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
মামলার বাদী আজাদের স্ত্রী দিলারা আক্তার বলেন, নিজ দলের নেতার নির্দেশেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আজ মামলা করতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় বোধ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের নিরাপত্তাসহ আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
মামলার আসামি ধর্মমন্ত্রীর পুত্র মোহিত উর রহমার শান্ত বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যকাণ্ড ঘটেছে। কারা কী করেছে পুলিশ সব জানে। এ মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/এমডি/জেবি)