অনুবাদ গল্প

যুদ্ধ ছায়ায়

প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০৭

মূল: বেন ওকরি
অনুবাদ: সাফি উল্লাহ্

বিকেল। গ্রামে তিনজন সৈনিক এসেছে। পথের মুরগি আর ছাগলগুলো এদিক-ওদিক পালাচ্ছে। তালগাছের পেছনেই বার। সেখানে মদের অর্ডার দেয়। মশামাছির মিছিলের মধ্যেই তারা নেশা করে যাচ্ছে। অনবরত।

বাবা কি বাইরে গিয়েছে, জানালা দিয়ে দেখার সময় অমোভো সৈনিকদের দেখে। তারা রেডিও শুনছে। যুদ্ধের কারণে শহর থেকে পালিয়ে যাওয়া এক পরিবারের কাছ থেকে একেবারে সস্তায় গ্রানডিগ রেডিওটি কিনেছিল। সাদা থান কাপড় দিয়ে রেডিওটি এমনভাবে ঢেকে রাখে দেখলে মনে হবে, গৃহস্থালি কোনো তৈজনপত্র। দেশের কোথায় কোথায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে, কোথায় কোথায় বিমান হামলা হচ্ছে, রেডিওতে এসব খবর শুনে। তারা বাবা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ায়, খুব সাবধানে সিঁথি কাটে, তারপর শেভ না করা গালে আফটার-শেভ মাখায়। দীর্ঘদিনে ধরে পরে আসা ওভার-কোটটা গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে পড়ে।

অমোভো তার বাবার প্রতি বিরক্ত হয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। গত সাত দিন ধরে এক অদ্ভুত মহিলা কালো বোরকা পরে বাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে প্রধান সড়ক পার হয়, তারপর বনের মধ্যে হারিয়ে যায়। অমোভো সেই মহিলাকে দেখার জন্য সেই তখন থেকে অপেক্ষা করছে।

মূল খবর শেষ হয়েছে। খবর পাঠক বলছেন, আজ রাতে চন্দ্রগ্রহণ হতে পারে। তার বাবা হাতের তালু দিয়ে মুখের ঘাম মুছে বিরক্তের সাথে বলে:

‘মনে হচ্ছে, চন্দ্রগ্রহণই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে!’
‘চন্দ্রগ্রহণ কী, বাবা?’ অমোভো জিজ্ঞাসা করে।
‘চন্দ্রগ্রহণে পুরা পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় আর অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে।’
‘কী রকম ঘটনা, বাবা?’
তারা বাবা সিগারেট ধরায়।
‘মরা মানুষ হাঁটতে হাঁটতে গান গাওয়া শুরু করে। তাই তখন বাইরে থাকবে না, ঠিক আছে?’
অমোভো মাথা নাড়ে।

‘চন্দ্রগ্রহণ বাচ্চাদের দেখতে পারে না। তারা বাচ্চাদের খেয়ে ফেলে।’
অমোভোর এটা বিশ্বাস হয় না। তারা বাবা হাসে, অমোভোকে দশ টাকার একটা নোট দিয়ে বলে:
‘বাবু, রেডিও বন্ধ করো। বাচ্চাদের যুুদ্ধের খবর শোনা ঠিক না।’

অমোভো রেডিও বন্ধ করে। তারা বাবা বিরক্তির সাথে গ্লাসে মদ ঢেলে পূর্বপুরুষদের জন্য বিড়বিড় করে কী যেন বলে, প্রার্থনা করে বোধ হয়। খাওয়া শেষ করে সে তার ব্রিফকেস নিয়ে চাঙ্গা হয়ে বেরিয়ে পড়ে। অমোভো দেখে, তার বাবা মেইন রোডের বাসস্ট্যান্ডের দিকে উঠে যাচ্ছে। ড্যানফো বাস আসার সাথে সাথেই বাবা সেটাতে উঠে পড়ে। অমোভো আবারও রেডিও চালু করে। জানালার কাঠে বসে মহিলাটির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সর্বশেষ যখন সে মহিলাটিকে দেখেছিল তখন সে হলুদ আলখাল্লা পরে চারপাশ মৃদু কাঁপিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে চলছিল। বাচ্চাকাচ্চারা তাদের খেলা থামিয়ে তার দিকে একটানা তাকিয়ে ছিল। তারা বলাবলি করেছিল, মহিলাটির কোন ছায়া নেই। তারা এমনও বলেছিল, সে হাঁটার সময় মাটিতে পা ফেলে না। সে যখন পার হয়ে গেলে পিচ্চিরা তাকে লক্ষ্য করে এটা-ওটা ছুড়তে শুরু করেছিল। সে পিছিয়ে এসেছিল না, দ্রুতও হাঁটল না এবং এমনকি পেছন ফিরে চাইলও না।

ভয়ানক গরম পড়ছে। শব্দগুলো মৃদু হয়ে আসছে। শব্দে তীব্রতা নেই। গ্রামের লোকেরা কাজ করতে গিয়ে এমনভাবে হাঁপিয়ে উঠেছে যেন সবাই ঘুমের ঘোরে হাঁটছে। তিন সৈনিক তালের মদ খেয়ে সূর্যের ভয়ানক অত্যাচারের মধ্যেও লুডু খেলছে। অমোভো দেখে, বারের সামনে দিয়ে বাচ্চারা যখন যাচ্ছে সৈনিকরা তাদের ডেকে কী যেন বলছে, তারপর তাদের হাতে টাকা দিচ্ছে। অমোভো সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামে, আস্তে আস্তে বারের সামনে দিয়ে যায়। সৈনিকরা তার দিকে তাকিয়ে আছে। ফেরার সময় সৈনিকদের একজন ডাক দেয়।
‘নাম কী?’, সে বলে।
অমোভো আমতা আমতা করে। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে হাসে। তারপর বলে,
‘চন্দ্রগ্রহণ।’

সৈনিকটা হাসে। হাসার সময় অমোভোর মুখে তার থুথুর ছিটে পড়ে। তার মুখে শিরা-উপশিরা বেরিয়ে আছে। তার সঙ্গীকে খুব একটা রসিক মনে হলো না। সে কাঠখোট্টা ধরনের। মাছি মারতে মারতে তারা খেলায় মনোযোগ দিচ্ছে। টেবিলের ওপর তাদের রাইফেল রাখা। অমোভো খেয়াল করে দেখে, সেগুলো ওপরে নম্বর লেখা আছে। লোকটি বলে:
‘তোমার ঠোঁট বড়, এই জন্য তোমার বাবা এ নাম দিয়েছে?’

তার সঙ্গী অমোভোর দিকে তাকিয়ে হাসে। অমোভো মাথা নাড়ায়। 
‘তুমি খুব লক্ষ্মী ছেলে,’ লোকটি বলে। সে থামে। তারপর আনমনা হয়ে জিজ্ঞাসা করে:
‘কালো বোরকা পরা কোন মহিলাকে দেখেছো?’
‘না।’
লোকটি অমোভোকে দশ টাকার একটি নোট দিয়ে বলে:
‘সে গুপ্তচর। সে আমাদের শত্রুদের সাহায্য করে। তাকে আসতে দেখলে আমাদেরকে বলবে। বুঝেছো?’

অমোভো টাকা নিল না। সে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে। জানালার চৌকাঠে আবারও আগের মতো করে বসে। সৈনিকরা মাঝে মাঝে তার দিকে তাকাচ্ছে। মোরগগুলোর ক্লান্ত ডাকাডাকিতে তন্দ্রা কেটে যায়। বিকেল যে ধীরে ধীরে সন্ধ্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তা টের পাচ্ছে। বারে বসে বসে সৈনিকরা ঢুলছে। প্রতি ঘণ্টায় খবর পড়ছে খবর-পাঠক। দিনের খবরগুলো শোনায় গুরুত্ব নেই। খবরপাঠকও ঢুলছে বোধ হয়, হাই তুলছে, দুঃখিত বলছে, আবার যুদ্ধের বর্ণনা দিচ্ছে। 

অমোভো ওপরে তাকিয়ে দেখে, মহিলাটি ইতোমধ্যে পার হয়ে গেছে। লোকগুলো বার ছেড়েছে। সে দেখে, কুঁড়েঘরগুলোর মধ্য দিয়ে তারা দৌড়াচ্ছে, গরম ধুলার মধ্যে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। মহিলাটি তার পথেই আছে। অমোভো সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামে লোকগুলোর গতিবিধি অনুসরণ করছে। তাদের একজন মাথার ক্যাপ খুলে ফেলেছে। পেছনের সৈনিকের পশ্চাৎদেশ এতই বড় যে প্যান্ট ছিঁড়ে যাওয়ার জোগাড়। মেইন রোড থেকে অমোভো তাদের গতিবিধি লক্ষ করছে। তারা বনের মধ্যে ঢুকেই মহিলাটিকে লক্ষ করা ছেড়ে দেয়। এরপর আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করে। অমোভোর মনে হয়, তারা যা করছে তা জেনেই করছে। মহিলাটিকে চোখে চোখে রাখতেই দ্রুত এগোতে থাকে।

সে মহিলাটিকে ঘন শস্যক্ষেতের মধ্য দিয়েও লক্ষ করছে। বিবর্ণ আলখেল্লা পরে আছে, গায়ে জড়ানো ধূসর শাল। কালো নেকাব দিয়ে মুখ ঢাকা। তার মাথায় একটা লাল ঝুড়ি। মহিলাটির ছায়া আছে কি না কিংবা তা পা মাটিতে পড়ছে কি না, এসব বিষয় লক্ষ করতে একদম ভুলে গিয়েছে। 

লোক দেখানো সাইনবোর্ড-অলা নির্মাণাধীন ভবনগুলো, ভেঙে পড়া দেয়ালগুলো পেরিয়ে যায়। ফাঁকা পড়ে থাকা সিমেন্ট কারখানা পেরিয়ে যায়: ব্লকগুলো ভেঙে পড়ে আছে, শ্রমিকদের থাকার টংগুলো ভেঙে পড়ে আছে। বাওবাবগাছের ছায়ায় পড়ে আছে বিশাল এক প্রাণীর নতুন কঙ্কাল পড়ে আছে, সেটাও পেরিয়ে যায়। একটা ডাল থেকে সাপ নিচে নেমে আসে। সাপটি নিচে নামার সময় পিছলে পড়েছে। একটু দূরে, পাহাড়ের কিনারায়, জোরে গান শুনতে যায় এবং শব্দের মধ্যে যুদ্ধের স্লোগান শুনতে পায়।

সমতলের এক নোংরা ক্যাম্পে সৈনিকদের পৌঁছানো পর্যন্ত সে মহিলাটিকে অনুসরণ করে। গুহার আলো-আঁধারির মধ্যে কিছু ছায়াচ্ছন্ন মানবমূর্তিকে নড়াচড়া করতে দেখে। মহিলাটি তাদের কাছে যায়। ছায়ামূর্তিগুলো তাকে ঘিরে ধরে, হাত ছুঁয়ে গুহার ভেতরে তাকে টেনে নেয়। সে শুনতে পায়, মহিলাটিকে তারা ধন্যবাদ জানাচ্ছে। মহিলাটিকে একটু পরেই আবার দেখা যায়। এখন তার কাছে ঝুড়িটি নেই। অভুক্ত, পিঠের সাথে পেট লেগে থাকা শিশুগুলো, ত্যানার মতো কাপড় পরে থাকা নারীরা পাহাড়ের অর্ধেক রাস্তা এগিয়ে দেয়। তারপর অনিচ্ছাসত্ত্বেও, তাকে ছুঁয়ে আশীর্বাদ করে। আশীর্বাদের ধরন দেখে মনে হয়, যেন তাকে আর কখনোই তারা দেখতে পাবে না। এরপর তারা ফিরে যায়। 

তারা কাদামাখা রাস্তায় ফিরে যায়, সে তাকে তখনও নজরে রাখে। সে এমনভাবে হাঁটছে যেন এক অদৃশ্য শক্তি তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কালো পানিতে যুদ্ধাস্ত্রে ভরা এক ডিঙি এবং পানিতে ডুবে থাকা পোশাক দেখতে পায়। বিসর্জন কিংবা উৎসর্গের বিভিন্ন জিনিস ভাসতে দেখে: পলিথিনে মোড়া পাউরুটি, খাবারের পুটলি, কোকাকোলার বোতল। যখন আবার অস্ত্রের দিকে তাকায়, সেগুলো মৃত পচে গলে যাওয়া প্রাণীর মতো দেখে। নদীর তীরে অনেক আগের মুদ্রা দেখতে পায়। আকাশে বোঁটকা একটা গন্ধ। পেছন থেকে ভারী নিশ্বাসের শব্দ কানে আসে। কেউ একজন কেশে থুথু ফেলে। কণ্ঠস্বরটি একজন সৈনিকের। থুথু ফেলে অন্য সৈনিকদের দ্রুত হাঁটতে বলে। অমোভো একটা গাছের আড়ালে জুবুথুবু হয়ে দাঁড়ায়। এর পরপরেই একটা চিৎকার শুনতে পায়। লোকগুলো মহিলাটিকে ধরে ফেলেছে। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়েছে তারা।
‘বাকিরা কোথায়?’ তাদের একজন চিৎকার করে ওঠে।

মহিলাটি নিশ্চুপ।

‘খাটাশ বদমায়েশ মহিলা! বল, নাইলে মরবি! তারা কোথায়?’
সে চুপ করেই থাকে। তার মাথা নিচু হয়ে আছে। সৈনিকদের একজন কেশে ওয়াক থু করে নদীতে কফ ফেলে।
‘বল! বল!’ থাপ্পড় মেরে সে বলে।

মোটা সৈনিকটা তার বোরকা টেনে খুলে মাটিতে ফেলে দেয়। সেটা তোলার জন্য নিচু হয়। হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় রয়েছে কিন্তু এখনও বসেনি। তার মাথা তখনও নোয়ানো। তার মাথা ন্যাড়া। অসংখ্য ভাঁজের কারণে মাথা কেমন যেন দেখাচ্ছে। তার চেহারায় ভয়ংকর ক্রুদ্ধ ভাব রয়েছে এখনও। বনের ওপরের আলো বদলেছে এবং প্রথমবারের মতো অমোভো দেখে নদীর মৃত প্রাণীগুলো কোনো প্রাণী ছিল না, সেগুলো মূলত বয়স্ক মানুষের লাশ। নদীর আগাছায় লাশগুলো আটকে আছে এবং তাদের চোখগুলো স্ফীত অথচ গর্বিত, এমনকি ধোঁয়াটেও। এই বীভৎস দৃশ্যের প্রতি কোনো অনুভূতি আসার আগেই আরেকটি চিৎকার শুনতে পায়। মহিলাটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার হাতে বোরকার নেকাব। দূরে দাঁড়ানো সৈনিকের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। একদম সোজা হয়ে। মুখোমুখি। বাতাসে বোরকার নেকাব উড়িয়ে পাগলের মতো আর্তনাদ করে ওঠে। অন্য দুজন সৈনিক পেছনে ফিরে আসে। মোটা সৈনিক তার মুখের ঘাম মুছে মহিলাটির পেট বরাবর বন্ধুক তাক করে দাঁড়ায়। অমোভো গুলির শব্দ শোনার পরপরেই একটা পাখনার ভয়ানক ঝাপটা তাকে লুকিয়ে থাকা জায়গা থেকে বের করে দেয়। অমোভো চিৎকার করতে করতে বনের মধ্য দিয়ে দৌড়াতে শুরু করে। সৈনিকরা ভারী পায়ে তার পিছু পিছু আসছে। সে ধুলোর মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে, মনে হচ্ছে ধুলাগুলো পাথর থেকে উঠে আসছে। দৌড়াতে দৌড়াতে দেখে, পাতার ফাঁক দিয়ে একটা পেঁচা তার দিকে তাকিয়ে আছে। গাছের শিকড়ের সাথে হোঁচট খেয়ে গাছের শিকড়ের সাথে মাথায় আঘাত লাগে। সে শুধু অন্ধকার দেখে। চারপাশে।

জেগে উঠেও দেখে ভয়ানক অন্ধকার। মুখের ওপর নিজের আঙুলগুলো বুলিয়ে নেয় কিন্তু কিছুই দেখতে পায় না। তাহলে কি সে চিরতরে অন্ধ হয়ে গেল, এটা ভেবে চিৎকার করে ওঠে। বিছানার সবকিছু তোলপাড় করে দরজার দিকে দৌড় দেয়। আর্তনাদের মধ্যেই সে টের পায়, বাইরে কেউ কথা বলছে। রেডিও থেকে ভেসে আসছে যুদ্ধের খবর। কোনোমতে ব্যালকনিতে এসে অবাক হয়ে দেখে, সে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছি, সে দেখতে পাচ্ছে। ব্যালকনিতে অবাক হওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন দেখে, তার বাবা একটি চেয়ারে বসে তিন সৈনিকের সাথে ড্রিংকস খাচ্ছে। অমোভো তার বাবার কাছে ছুটে গিয়ে তিনটি লোককে আঙুল দিয়ে দেখায়।
‘তাদের থ্যাঙ্কিউ দাও, বাবা,’ তার বাবা বলে। ‘তারা তোমাকে বনের মধ্য থেকে নিয়ে এসেছে।’

ঘোর থেকে বের হতে একটু সময় লাগে। রাতে কী দেখেছে, তা তার বাবাকে বলতে শুরু করে। কিন্তু তার বাবা সৈনিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাকে কোলে নিয়ে বিছানায় নিয়ে যায়।

লেখক পরিচিতি: আফ্রিকান সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক বেন ওকরি (১৯৫৯)। তিনি উত্তর-আধুনিক ও উত্তর-ঔপনিবেশিক লেখক হিসেবে অধিক সমাদৃত। লেখালেখি করেন ইংরেজিতে। বেন ওকরি পড়াশোনা করেছেন লন্ডন ও লাগোসে। লাগোসেই শুরু হয় তার নিজস্ব শিকড়ের পরিচয়। সেখানকার গৃহযুদ্ধের অভিজ্ঞতা আর সংস্কৃতির মিশেলই বেন ওকরির রচনায় পরবর্তী সময়ে প্রাণ ফিরে পায়। তিনি দ্য ফ্যামিইশ্ড রোড উপন্যাসের জন্য ১৯৯১ সালে বুকার পুরস্কার অর্জন করেছেন।

অনুবাদক পরিচিতি: সাফি উল্লাহ্ একজন তরুণ কথাসাহিত্যিক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স এবং একই বিভাগ থেকে সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। তার প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা দুটি।

(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/এজেড)