‘পাওনা টাকার জন্যই রাসেলকে হত্যা’

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৩

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর গ্রামের বনখড়িয়া এলাকায় শালবনের ভেতর থেকে গত ১০ আগস্ট রাসেল মোল্লা নামে এক পোশাকশ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের মা মামলা করেন।

নিহত রাসেল মোল্লা রাজেন্দ্রপুরের ডার্ট কম্পোজিটের একজন অপারেটর ছিলেন। গত ৮ আগস্ট কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন।

এদিকে থানায় মামলার পরই পুলিশ হত্যা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রবিবার দুপুরে উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাজার থেকে অভিযুক্ত ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার বেলতৈল গ্রামের আল মামুন ও একই গ্রামের ইমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই এলাকায় ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রী কাজ করতেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে এর বর্ণনা দেন।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, আসামি আল মামুন ও ইমাম হোসেনদের বাড়ি একই গ্রামের হওয়ার সুবাদে গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর বাজার আরপি গেইটে বাসা ভাড়া নিয়ে এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। রাসেল মোল্লা ও আল-আল মামুন আগে একই গার্মেন্টস কারখানায় কাজের সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এসময় আল মামুনের নিকট হতে কিছু টাকা ধার নেয় রাসেল মোল্লা। তবে সময়মত টাকা না দেয়ায় তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।

গত ৮ আগস্ট বিকালে আল মামুন রাসেল মোল্লাকে পাওনা টাকার জন্য ফোন করলে রাসেল মোল্লা আল মামুনকে রাজেন্দ্রপুর বাজারে আসতে বলে। এসময় কথামত আল-মামুন তাহার সহযোগী ইমনকে সাথে নিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে আসে এবং তারা পরিকল্পনা করে বাজারের দোকান থেকে একটি হাতুড়ি কিনে ইমান আলী ইমনের কোমরে গুঁজে রাখে। সন্ধ্যা অনুমানিক ৭টার দিকে তাদের রাজেন্দ্রপুর বাজারে দেখা হলে রাসেল মোল্লা আল মামুনকে পাওনা টাকা দেবে বলে তার সাথে তাদের বাড়িতে যেতে বলে। এসময় তারা তিনজন রাজেন্দ্রপুর স্টেশন হতে রেললাইন যোগে পায়ে হেঁটে রাসেল মোল্লাহর বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে আল মামুন ও তার বন্ধু ইমন মিলে রাসেল মোল্লাকে ভাওয়াল বনের ঝোঁপের ভেতর নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে তার কপাল, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের উপর্যপুরি আঘাত করে। পরে রাসেল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইমাম হোসেনের প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় বেঁধে জোরে টান দেয় এতে রাসেলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাথে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে তারা রাসেল মোল্লার মোবাইল বিক্রয় ও সাত হাজার টাকা সমহারে ভাগ করে নেয়।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরো জানায়, তাদের গ্রেপ্তারের পর সোমবার সকালে তাদের সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরের দিকে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :