ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৩৬

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। একই দাবিতে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আইন ও শরিয়া অনুষদভুক্ত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রতিবাদে এ অবরোধ ও স্মারকলিপি দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আইন ও শরিয়াহ অনুষদভুক্ত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অনুষদের মাধ্যমে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আল-ফিকহ বিভাগে আইন বিভাগের সমপরিমাণ আইন সম্পর্কিত কোর্স পড়তে হয়। এটি আল-ফিকহ বিভাগকে থিওলজি অনুষদভুক্ত বিভাগে রূপান্তরিত করার হীন চক্রান্ত। আমরা প্রশাসনের কাছে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাই। অন্যথায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষদের ডিন বারাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদভুক্ত বিষয়গুলো ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কিত। কিন্তু আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ সাহিত্য সম্পর্কিত। সাহিত্যের সাথে ধর্মতত্ত্ব কোন সম্পর্ক নেই। ভর্তি পরীক্ষা মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বহাল রাখার জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও শরিয়াহ অনুষদভুক্ত আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার আল-ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে অবরোধ পালন করেন।

আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. একে মোহা. নুরুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। ক্যাম্পাসে গিয়ে বিভাগের একাডেমিক কমিটির সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।

আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাথে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের কোন সম্পর্ক নেই। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অন্য কোন অনুষদের অধীনে গ্রহণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, শিক্ষার্থীদের উচিৎ তাদের শিক্ষকদের সাথে কথা বলা। বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিভাগের শিক্ষকদের মাধ্যমে বিষয়টি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানাতে হবে। যদি একান্তই সমস্যা হয়, তবে সমাধান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :