ঢাকার রেস্তোরাঁয় আমেরিকান স্বাদ

রেস্তোরাঁয় খেতে খেতে আড্ডা দেয়া তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ডড হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় বসে যদি আমেরিকান খাবারের স্বাদ মেলে তবে তো কথাই নেই! সম্প্রতি বনানীতে চালু হয়েছে আমেরিকান বেকারি ও কফিশপ চেইন ‘সুগার অ্যান্ড কো’।

বনানী ১১নং রোডের জেনেটিক পয়েন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলার এই রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করা মাত্র অথেনটিক কফির সুঘ্রাণ পাবে কফি লাভাররা।

ছিমছাম পরিপাটি আর নান্দনিক ডিজাইনে সাজানো আর ৪০টিরও বেশি আইটেম থাকা কফিশপটি বন্ধুবান্ধব বা পরিবার পরিজন নিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য হতে পারে দারুণ এক জায়গা।

রেগুলার চা ও কফির সঙ্গে রেস্তোরাঁটির মেন্যুতে থাকা কফির মাঝে আছে আমেরিকানো, কাপাচিনো, লাতে, ফ্লেভারড লাতে, ক্যাফে মকা, হোয়াইট মকা এবং হট চকলেট। দামও হাতের নাগালে। সর্বনিম্ন ১৫০টাকা থেকে ৩০০ টাকায় চুমুক দেওয়া যাবে কফির কাপে।

পেস্টি লাভারদের জন্য আছে পিনাট বাটার কাপ কেক, নিউটেলা কাপকেক, রেড ভেলভেট কাপকেক, কিটক্যাট কাপকেক, চিজকেক স্লাইস, অরিও চিজকেক, রেড ভেলভেট চিজকেক, চকলেট প্যারাডাইস এবং বানোফি পাই।

দেড়শ থেকে তিনশ টাকায় স্বাদ নেওয়া যাবে মজাদার এসব পেস্ট্রির। এছাড়াও প্রতিদিন দুইটি ভিন্ন ভিন্ন সিগনেচার ডেজার্ট আইটেম থাকে এখানকার মেন্যুতে।

কোনো এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় ‘সুগার অ্যান্ড কো’তে এসেছিলেন রাইসা রহমান। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু ও মা। খেতে খেতে তাদের আড্ডা বেশ জমে ওঠে। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলছিলেন,‘পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুদের নিয়ে এখানে প্রায়ই আসা হয়। জায়গাটা যেমন নিরিরিলি তেমনি এখনকার খাবারের স্বাদও ভালো।

রেস্তোরাঁয় কথা হয় শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি এসেছিলেন তার স্ত্রীকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘নাস্তা খেতে এখানে এসেছি। সম্প্রতি একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এই রেস্তোরাঁর খবর পাই। এর ইন্টেরিওরটাও বেশ ভালো। খাবারের স্বাদেও ভিন্নতা আছে।

বিদেশি ধাঁচে কফিশপ বা বেকারিটি সাজানো হলেও এখানে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবারও মেলে।

রেস্তোরাঁটির সিগনেচার ডিশের মধ্যে অন্যতম মাশরুম স্টেক। দাম পরবে এক হাজার ২৫ টাকা। এছাড়াও আছে চিকেন পারমিজান, বারবিকিউ চিকেন, গ্রিলড ক্যাজুন স্পাইসি চিকেন, মাশরুম পিকাতা এবং চিকেন কর্ডন ব্লিউ। সি-ফুড লাভারদের কথা বিবেচনায় রেখে মেন্যুতে রাখা হয়েছে গ্রিলড ফিশ ফিলে এবং ফিশ অ্যান্ড চিপস। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে এক একটি ডিশ। এছাড়াও আছে পিৎজা, পাস্তা, স্যান্ডউইচ, বার্গার, সালাদ ও ওয়েফার আইটেম।

পাশাপাশি যারা সকালের নাস্তা করতে চান তাদের জন্যও প্রতিদিন সকালে থাকছে বিশেষ আয়োজন। আর চলতি গরমের মৌসুমে ঠান্ডা ড্রিংকসে গলা ভেজানোর জন্য সাধারণ কোমল পানীয়র পাশাপাশি আছে সিগনেচার বানানা শেক, ব্লু ওশন, ভার্জিন মোজিটো এবং সুগার অ্যান্ড কো ম্যাঙ্গো ব্লাস্ট এর মতো মকটেল আইটেম।

কফিশপ কাম রেস্তোরাঁটির কর্ণধার বিশ্ব সাজ্জাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সুগার অ্যান্ড কো মূলত আমেরিকান বেকারি ও কফি শপের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এটা একটা নতুন কনসেপ্ট। বেকারি অ্যান্ড কিচেন একসঙ্গে। তবে আমাদের ফোকাসটা থাকছে কফি, ডেজার্ট এবং স্ন্যাকসের দিকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে, মানুষ এখন শুধু খাওয়ার জন্যই কোন রেস্টুরেন্টে যায় না। বরং রেস্টুরেন্ট বাছাই করার সময় তার পরিবেশ, বসার জন্য সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট এগুলোর দিকে নজড় দেয়। আমরাও আমাদের রেস্টুরেন্টটিকে সেভাবে সাজিয়েছে। এখানে বসে আড্ডা দেওয়ার বা ছোট গেট টুগেদার করার অথবা কোন মিটিং করার জন্য দারুণ এক জায়গা এটি। এখানে আসলে আমাদের অতিথিরা খুব রিল্যাক্সড ফিল করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’

ভবিষ্যতে এই কফিশপটির আরও শাখা চালু করা হবে বলেও জানান বিশ্ব সাজ্জাদ।

(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/এজেড)