চলাচল করাই দায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে!

সাইফুল ইসলাম, নাটোর
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৩ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:২৪

নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্বাভাবিক গতির চেয়ে ধীরে চলছে যানবাহন। মহাসড়ক জুড়ে খানাখন্দ আর গর্তের কারণে প্রতিনিয়তই বাড়ছে যানজট। নামকাওয়াস্তে সংস্কারে কারণে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের নাটোর-টু-সিংড়া-জামতলী বাঁশের ব্রিজ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তা দেবে উচু-নিচু হয়েছে। অনেক জায়গায় কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পথের যাত্রীরা।

প্রতিদিন সহস্রাধিক বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপসহ বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে সিংড়া বাসস্ট্যান্ডের ফেরিঘাট এলাকায় ব্রিজের দুই পাশের মহাসড়কে তিনটি গর্ত যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই গর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কটি উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও পঞ্চগড় জেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। মহাসড়কটির বেহাল দশার কারণে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।

পুরো এলাকা জুড়ে সড়কে গর্তের কারণে চলনবিলের কৃষকসহ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের বেড়েই চলেছে ভোগান্তি। বিশেষ করে আত্রাই নদীর উপর নির্মিত সিংড়া ফেরিঘাট ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে গরু হাট এলাকায় ও পূর্ব পার্শ্বে ধান হাট এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন তিনটি গর্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

আর এই জনবহুল পূর্ণ এলাকায় মহাসড়কের দুইপাশের গর্তে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

এছাড়াও মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুরু করে চৌগ্রাম, জামতলী ও বাঁশের ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত ছোট-বড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নাটোর থেকে বগুড়া পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের প্রায় দ্বিগুণ সময় গুণতে হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন, আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রতিদিনই ব্যবসায়ী কাজে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, এই রাস্তাটি খারাপ হয়েছে। আর তাদের মোবাইল গাড়ীর মাধ্যমে রাস্তার গর্তগুলো সংস্কারও করা হচ্ছে। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে কয়েকদিন কাজ করতে না পারায় সমস্যা কিছুটা বেড়েছে। আর সিংড়া ফেরিঘাট ব্রিজের দুইপার্শ্বের গর্তগুলো ফান্ড স্বল্পতার কারণে সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :