এটা গোপন বিচার: খালেদার আইনজীবী
সরকার ক্যামেরা ট্রায়াল করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গোপন বিচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন। বলেছেন, কারাগারে আদালত বসানোর প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ভবনের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন। সমিতির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
জয়নুল বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে ওই আদালতে পাবলিক তো দূরের কথা খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামিদের নিয়োজিত আইনজীবী, আসামিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা দলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার নেতাকর্মীদের প্রবেশ এবং আদালতের কার্যক্রম দেখা বা শ্রবণ করার কোনো সুযোগ নাই।’
বুধবার পুরনো কারাগারের ভেতরে বসা সেই আদালতে খালেদার আইনজীবীরা না গেলেও, সংবাদকর্মীরা সেখানে যেতে পেরেছিলেন। এমনকি আদালতের কার্যক্রমও প্রত্যক্ষ করেছেন তারা।
যদিও বিচার প্রক্রিয়া থেকে নেতাকর্মী ও অন্যান্যদের আড়ালে রাখতেই সরকার কারাগারে আদালত বসিয়েছে অভিযোগ জয়নুলের।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক আদালত বলতে একটি উন্মুক্ত আদালতের কথা বলা হয়েছে। যেখানে যে কোনো পাবলিকের সাধারণভাবে প্রবেশাধিকার থাকে।’
‘কিন্তু কারাগারের যে ৭ নম্বর কক্ষটিকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধানের ৩৫(৩) এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫২ ধারা মোতাবেক কোনো উন্মুক্ত আদালত নয় বা হতে পারে না।’
অবিলম্বে আদালত পরিবর্তনে আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অন্যথায় আইনি পদক্ষেপসহ সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/এমএবি/ডিএম