ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট

গাজী ইয়াসিনুল ইসলাম
 | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪২

পরীক্ষাটির জন্য একটি অন্ধকার কক্ষে দুটি সমান্তরাল ও সরু ছিদ্র যুক্ত একটি বোর্ডের একপাশে নির্দিষ্ট রঙের (অর্থাৎ নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের) আলো এবং অন্য পাশে একটি পর্দা রাখা হয়।

ক. দুটি ছিদ্রের একটি খোলা রেখে আলো ফেললে, পর্দায় একটি লম্বা আলোর ব্যান্ড তৈরি করে।

খ. কিন্তু দুটি ছিদ্র খোলা রেখে আলো ফেললে, পর্দায় আলো ও আধারের পাশপাশি ব্যান্ড তৈরি হয় যাকে বলা হয় ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন। যদি নিউটনের আলোক কণা তত্ত্ব সঠিক হত তবে এই পরীক্ষায় দুটি খোলা ছিদ্রের জন্য পর্দায় পাশাপাশি দুটি আলোর ব্যান্ড তৈরি হত। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন কেবলমাত্র আলোকে তরঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করলেই ব্যাখ্যা করা যায়।

এনালজি: ধরা যাক সমুদ্রের ঢেউ দুটি ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে উপকূলে আঘাত হানছে। দুই ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করা ঢেউ/তরঙ্গ একসাথে মিশে কোথাও একে অপরকে নিষ্ক্রিয় করে স্থির পানি তৈরি করে (দুটি তরঙ্গের শীর্ষ-Crest এবং খাঁজ-Trough পরস্পরকে নিষ্ক্রিয় করে) এবং কোথাও উঁচু ঢেউ তৈরি করে (দুটি তরঙ্গের শীর্ষ-crest এক হয়ে বড় ঢেউ তৈরি করে) এর ফলে উঁচু ঢেউ এবং স্থির পানির একটি প্যাটার্ন তৈরি হয়।

থমাস ইয়াং এর পরীক্ষায়ও একই ঘটনা ঘটে। উজ্জ্বল ব্যান্ড যেখানে আলোক তরঙ্গ মিশে বড় তরঙ্গ তৈরি করে এবং অন্ধকার ব্যান্ড যেখানে আলোক তরঙ্গ পরস্পরকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :