যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব ১ দিনের রিমান্ডে
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলায় তার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই বজলার রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামিপক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া, জায়েদুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন।
শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এজাহারে তার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। অথচ পুলিশ তার ঠিকানায় গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি চাঁদা দাবি করেন অভিযোগ করা হলেও এর আগে একটা জিডিও করেননি বাদী।মোজাম্মেল হকের আইনজীবীরা বলেন, ‘যাত্রীদের কল্যাণের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গবেষণা করেন না, বিভিন্ন পত্রপত্রিকার হিসাব দেখে সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরেন। আগামী ১০ তারিখে রাউন্ড টেবিলে তার একটা আলোচনা রয়েছে। সেখানে তিনি যেন অংশ নিতে না পারেন সেজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে তাকে গ্রেপ্তারের বা রিমান্ডের বিন্দুমাত্র যৌক্তিকতা নেই।’ তার রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন আইনজীবীরা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে দুলাল নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।মামলায় বলা হয়, ‘গত ১০-১৫ দিন ধরে মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের নেতা দাবি করে মিরপুর রোড শ্রমিক কমিটির কাছ থেকে মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দিলে বাদী ও সংগঠনের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকাসহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে খারাপ প্রতিবেদন প্রকাশ করাসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে মোজাম্মেল হক দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি ভয়ে তাকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করি। তখন মোজাম্মেল হক বাকি টাকা ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় দিতে বলে চলে যায়।’
(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/মোআ)