পাবনা-১: আ.লীগে সাইয়িদ না টুকু

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৩২
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শামসুল হক টুকু

সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়ন নিয়ে পাবনা-১ আসনে জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী প্রচার। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সভাসমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে। প্রার্থীদের ছবিসংবলিত পাস্টার-ব্যানার ঝুলছে নির্বাচনী এলাকার মোড়ে মোড়ে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সক্রিয়। ভোটারদের মধ্যেও প্রার্থীদের নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। চায়ের আড্ডায় উল্লেখযোগ্য সময়জুড়ে থাকছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা।

শাসক দল আওয়ামী লীগে একাধিক মনোনয়ন-প্রত্যাশী থাকলেও দলের মনোনয়ন লড়াইটা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর মধ্যে।

২০-দলীয় জোটের মধ্যে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এ আসনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীরা সক্রিয় রয়েছে। তবে ২০ দলের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নেিয় আছে ধোঁয়াশা।

পাবনা-১ বরাবরই ভিআইপি আসন হিসেবে বিবেচিত। স্বাধীনতার পর থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এ আসনে যিনি এমপি হয়েছেন তিনি সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (তথ্য প্রতিমন্ত্রী), মেজর (অব.) মন্জুর কাদের (পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী), মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (শিল্পমন্ত্রী), শামসুল হক টুকু (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী)। এ জন্য বরাবরই এই আসনের দিকে নজর থাকে সবার।

এ আসনে জামায়াতের একটা শক্ত অবস্থান থাকলেও গত দুই দফায় আসনটি দখলে রাখতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। নব্বইয়ের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী হন জামায়াতের সাবেক আমীর প্রয়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। পরের দফায় ১৯৯৬ সালে নিজামীকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের আবু সাইয়িদ। ২০০১ সালের ভোটে ফের বিজয়ী হন নিজামী। পরের দুটি নির্বাচনে অর্থাৎ ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক টুকু। প্রথমে তাকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চায় আসনটি ধরে রাখতে। এ জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা প্রিিতদিনই জনসংযোগ করে চলেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করাসহ কর্মীদের নির্বাচনমুখী করার চেষ্টা করছেন সরকারদলীয় এমপি শামসুল হক টুকু। জানতে চাইলে তার সমর্থকরা বলছেন, এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় টুকুই মনোনয়ন পাবেন এবং বিজয়ী হবেন।

অনেক দিন ধরে নির্বাচনের বাইরে থাকা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবার মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন তার লোকজন। অধ্যাপক ডা. আবদুল আওয়াল বলেন, আসনটি বরাবরই ছিল দলের একসময়ের দাপুটে নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের একক আধিপত্য। এ আসন থেকে তিনি ১৯৭০ ও ১৯৯৬ সালে বিজয়ী হন তিনি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ছিটকে পড়েন। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান তার অনুজপ্রতিম নেতা পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক টুকু। এবার আবু সাইয়িদ মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।

তবে টুকুর দাবি এলাকায় তার উন্নয়ন বিবেচনা করে তাকেই মনোনয়ন দেবে কেন্দ্র। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, তার সময়ে এলাকায় হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক বেকার যুবককে চাকরি দেয়া হয়েছে।

টুকুর বক্তব্যের সমর্থন করে তার সমর্থকরা বলছেন, তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন- এটা নিশ্চিত।

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২১ জন।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :