ট্রাফিক কর্মসূচিতে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সড়কে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৪

ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য পুলিশের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে অভিযান চলছে মোহাম্মদপুর বেড়িবাধে। সেখানে আটক করা হচ্ছে ইজিবাইক, লেগুনা, কাগজবিহীন গাড়ি। সড়কে যানবাহন কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার বেড়িবাঁধে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। যাত্রীরা বলছেন, আগে বিকল্প ব্যবস্থা করে তারপর ইজিবাইক ও লেগুনা চলাচল নিষেধ করা দরকার ছিল।

বেড়িবাঁধের রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনে বসানো হয়েছে ট্রাফিক বিভাগের তল্লাশি চৌকি। সেখানে ট্রাফিক অভিযান পরিচালনা করছেন টিআই আজাদ।

ঢাকাটাইমসকে টিআই আজাদ বলেন, 'ডিসি স্যারের স্পেশাল টিম হিসেবে আমরা কাজ করছি। এখানে পরিবহণের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেককে জরিমানা করেছি। আটককৃত পরিবহণের মধ্যে যেগুলোর অনুমোদন নেই, সেগুলো ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছি।'

ডাম্পিংয়ের শিকার হচ্ছে বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। এই পরিবহনটির কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। তবে বৈধভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা লাখ লাখ ইজিবাইক সারা দেশে চলাচল করছে।

এ ছাড়া কাগজপত্রবিহীন অটোরিকশা, পিকাপ ভ্যানসহ সব ধরনের পরিবহণ ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে। যেসব পরিবহণের কাগজপত্রে সমস্যা রয়েছে তাদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা।

এই ট্রাফিক অভিযানের প্রভাব পরেছে এ রুটের পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে।

পরিবহণ শ্রমিকরা বলছেন, এত দিন এই সড়কে ইজিবাইক চলেছে। তখনো কোনো অনুমোদনের ব্যবস্থা ছিল না, এখনো নেই। ইজিবাইকের অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হলে তারা অনুমোদন নিয়েই গাড়ি চালাবেন।

অনুমোদনের ব্যবস্থা না করে গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো অযৌক্তিক দাবি করেন ইজিবাইক চালক দুলাল। বলেন, 'কাগজ করার ব্যবস্থা থাকলে তো কাগজ করতাম। ব্যবস্থাই তো নাই। ইচ্ছামতো গাড়ি ধরতাছে। আমরা কী কইরা খামু?'

এদিকে ট্রাফিক অভিযানের মুখোমুখি না হতে বন্ধ রয়েছে বেড়িবাঁধ সড়কের অধিকাংশ ইজিবাইক সেবা। কামরাঙ্গীরচর সিকসন থেকে বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড় রুটের ইজিবাইকগুলোর কিছু চলছে সিকসন থেকে রায়েরবাজার গোরস্থান পর্যন্ত।

ইজিবাইক চালক মনির ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'কি শুরু করছে, আমরা মানুষ না? আমরা কার ক্ষতি করি? কোনো অবৈধ কাজ তো করছি না। এভাবে গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠালে আমাদের রুটি-রুজির কী হবে!’

ট্রাফিক তল্লাশির কারণে লেগুনা, ইজিবাইক ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে এই সড়কে। নামমাত্র কয়েকটি বাস চলছে। পরিবহণ সংকটে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ভ্যানগাড়ি ও পণ্যপরিবহণের কাজে ব্যবহৃত পিকাপ ভ্যানে গন্তব্যে যাচ্ছে৷

তীব্র রোদে খোলা যানবাহনে চলাচল করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পরিবহণ না পেয়ে পিকাপ ভ্যানে ওঠা শফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'বাস, লেগুনা নাই। মালটানা গাড়িতে উঠতে হলো। ইজিবাইক-লেগুনা বন্ধ করার আগে বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা করার দরকার ছিল প্রশাসনের। তা না করে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে মানুষের।'

গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরীতে মাসব্যাপী ট্রাফিক আইন প্রয়োগ ও ট্রাফিস সচেতনতা কর্মসূচির ঘোষণা দেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অভিযান চলবে পুরো সেপ্টেম্বর মাস। পুলিশকে সহযোগিতার জন্য রাস্তায় থাকবে ৩৩২ জন রোভার স্কাউট।

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

​​​​​​​যাত্রীদের নিরাপত্তায় কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

ছুটির দিনে রাজধানীর বিপণি কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

বিজিবিতে আযান ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার

এক হাতে ইফতারের পানির বোতল, আরেক হাতে যান চলাচলের ইশারা ডিসির

এলিফ্যান্ট রোডে বাসা থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

অসুস্থতার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ছুরিকাঘাতে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’

বুধবার থেকে এক ঘণ্টা বাড়ছে মেট্রোরেল চলাচলের সময়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :