শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বিভাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বিভাগ বলেছে, সায়মা ইকবাল নামের ওই শিক্ষার্থীর বিশেষ পরীক্ষার বিষয়ে বিভাগ প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে। সেই সঙ্গে সায়মা ভবিষ্যতে কোনো বিশেষ পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।
শনিবার দুপুর তিনটার দিকে সায়মা ইকবাল ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিভাগের শিক্ষকরা।
এর আগে কোনো ‘যৌক্তিক কারণ’ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৪ তম আর্বতনের শিক্ষার্থী সায়মা ইকবালের কোনো প্রকার পরীক্ষা নিতে চাচ্ছিল না বিভাগ। এমনকি উপাচার্য তার বিশেষ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও বিভাগ তার ওই পরীক্ষাটি নেয়নি। আর সভাপতি মাহফুজা খাতুন বলেছেন তার ছাত্রত্ব নেই। কিন্তু এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সায়মার কিছু সমস্যার কারণে তার শিক্ষা জীবনে সমস্যা তৈরি হয়। এ কারণে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেননি। তাই তিনি পুনরায় ৪৫তম আবর্তনে নিয়মিত হতে চাচ্ছেন। সেইসাথে তার দুটো স্পেশাল পরীক্ষাও দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু গত ১৬ই আগস্ট বিভাগের পক্ষ থেকে একটি নোটিশের মাধ্যমে তাকে স্পেশাল পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে তার ২য় পর্ব ১ম সেমিস্টারের ২০৫ ও ২১২ নং দুটি স্পেশাল পরীক্ষা নিচ্ছে না বিভাগ। এরমধ্যে ২০৫ নং কোর্সের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এই বছরের ১৮ই মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বিভাগকে নির্দেশ দেন। সেইসাথে ২০১৭ সালের ৩য় পর্বের ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা বহাল রেখে উক্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতেও বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। আর ২১২ নং কোর্সের পরীক্ষার জন্য বিভাগ থেকে কোনো অনুমতিই দেওয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ছয় বছর সময়কালের মধ্যে অনার্স কমপ্লিট করা যায়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর দুইবার রিপিট করার সুযোগ আছে। কিন্তু বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে ব্যবসায় অনুষদে একটি রিপিট নেওয়া যায়। অথচ তাকে সে সুযোগও দেয়নি বিভাগ।
এদিকে গতকাল সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল জোটের প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিভাগের সভাপতি মাহফুজা খাতুন বলেন ব্যবসায় অনুষদের জন্য আলাদা অর্ডিন্যান্স। এসময় তারা অর্ডিন্যান্স দেখতে চায় এবং তার সাথে বসতে চায়। তিনি দুপুর আড়াইটার দিকে সময় দেন। কিন্তু সে সময় তিনি তাদের সাথে কথা না বলে গাড়িতে উঠে চলে যেতে উদ্যত হন। তখণ তাকে অর্ডিন্যান্স সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা বিভাগে রেখে এসেছেন বলে জানান। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের অর্ডিন্যান্স দেখান। সেখানে তিনি ১২ টা পয়েন্ট দেখান কিন্তু ১৩ নম্বর পয়েন্টটি এড়িয়ে যান। অথচ সেখানেই ছয় বছর মেয়াদের কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি সেখানে কথা না বলে গাড়িতে উঠে চলে যান। এসময় তিনি সাময়ার অবিভাবককে নিয়ে আসতে বলেন। তিনি তাদের ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলবেন না বলে জানান।
ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস