বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট
দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে এই রিট করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন। সোমবার রিটটির শুনানি হতে পারে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী নওশাদ জমির বলেন, রিটে ইউনাইটেড বা বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজি (প্রিজন), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার বিচার শুরু হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর আর এই মামলায় শুনানি হয়নি।
প্রায় শেষ পর্ায়ে থাকা এই মামলার শুনানির একাধিক তারিখ পড়লেও বিএনপি নেত্রী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজির না হওয়ায় তারিখ পিছিয়েছে। এই অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে কারাগারেই আদালত বসানোর অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। আর ৫ সেপ্টেম্বর সেই আদালতে শুনানিও হয়।
শুনানিতে হুইল চেয়ারে করে সেখানে হাজির হয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে সেদিন বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা আদালতে যাননি।
এর আগে নানা সময় বিভিন্ন মামলার শুনানির তারিখ পড়লে খালেদা জিয়ার আইনজীবী, বিএনপি নেতা এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা অসুস্থতার বিষয়টি সামনে আনেন। গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়।
গত জুনে বিএনপি নেত্রীকে আবারও এই হাসপাতালে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল হলেই কেবল তিনি যাবেন।
এরপর খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যেতে প্রস্তাব দেয় সরকার। কিন্তু সেটাও অগ্রাহ্য করেন তিনি। বিএনপি দাবি করে, তাদের নেত্রী যেসব রোগে আক্রান্ত, সেটির চিকিৎসা কেবল ইউনাইটেডেই সম্ভব।অ
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এদিন থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও দুর্নীতির আরও চারটি মামলা চলছে।
ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি, ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনসহ ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।
ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এমএবি/ডিএম/ডব্লিউবি