আখাউড়ায় রেলপথ নির্মাণের উদ্বোধন করবেন হাসিনা-মোদি

মহিউদ্দিন মিশু, আখাউড়া থেকে
 | প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩১

সোমবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিন বিকালে পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে পাঠানো রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন সাক্ষরিত আমন্ত্রণ পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আখাউড়া রেলস্টেশনে ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যদিয়ে প্রকল্প উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আখাউড়া স্টেশনের ৩নং প্লাটফর্মে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্স ও সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রধান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এ প্রকল্পের ভারতের অংশের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।

দুই দেশের এ রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম-সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা-কলকাতার সঙ্গেও রেল যোগাযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ জানায়, আখাউড়া-আগরতলা ১৫ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন হবে চারটি। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভারতীয় অংশে থাকবে ত্রিপুরার আগরতলা ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশন। অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে থাকবে গঙ্গাসাগর ও আখাউড়া স্টেশন। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত স্টেশন নিশ্চিন্তপুর ও গঙ্গাসাগর-এ দু’টি স্টেশন নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এর একটি ভারতে নিশ্চিন্তপুর। অপরটি বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর। তবে, আখাউড়া ও আগরতলা এ দুটি রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুবিধাস¤পন্ন আনুষঙ্গিক পরিকাঠামোগত কিছু কাজ করা হবে সূত্রটি জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগরতলা রেলস্টেশন থেকে ত্রিপুরার নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৩.৭ কিলোমিটার নির্মাণ করা হচ্ছে ফ্লাইওভারসহ আধুনিক সুবিধাস¤পন্ন রেললাইন।

এই ৫ কিলোমিটার রেললাইনের জন্য ত্রিপুরার ২৫৭ জন মালিককে ভূমি ছাড়তে হয়েছে। এদের মধ্যে ২০টি পরিবারকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে হয়।

এদিকে বাংলাদেশ অংশে ১০কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ অংশের আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ও মনিয়ন্দ এবং গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ভূমি মালিকদের জমির মূল্য পরিশোধের পরও তাদের পুনর্বাসনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, পূর্বে মিটারগেজের লাইন নির্মাণ করার কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত বাতিল করে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে দু’দেশের স¤র্পক আরও মজবুত ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :