জামিন পেলেন গঞ্জেরাজের মালিক ও চালক
কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় ফয়সাল গঞ্জেরাজ পরিবহনের ধাক্কায় শিশু আকিফা নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার যানটির মালিক ও চালককে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক ওই দুই আসামিকে জামিন দেন।
এর আগে গতকাল রবিবার ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বাসটির মালিক জয়নালকে। পরে তাকে আনা হয় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে। আর বাসটির চালক মহিদ মিয়া ওরফে খোকন সোমবার সকালে আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিন চান।
আদালত সুত্র জানিয়েছে, আকিফার বাবার করা মামলায় গঞ্জেরাজ পরিবহনের মালিক জয়নাল মিয়াকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে রবিবার বিকালে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে মালিকের পক্ষে তার আইনজীবীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ্ম এম মোর্শেদের আদালতে জামিন আবেদন করেন। একই সময়ে আদালতে আত্মসমর্পন করেন চালক মহিদ মিয়া ওরফে খোকন। পরে আদালত দুইজনকে জামিন দেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আশরাফ বলেন, নতুন আইন এখনো গেজেট হয়নি। তাই পুরাতন আইনে আসামিদের জামিন আবেদন করা হয়। সব দিক বিবেচনা করে আদালত আসামিদের জামিন দিয়েছেন।
এদিকে আকিফা হত্যার ঘটনায় গঠিত সরকারি একটি তদন্ত টিমের সদস্যরা সকালে কুষ্টিয়ায় আসেন। ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিমের সদস্যরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
এর মধ্যে ঢাকার ছয়জন ও বাকিরা স্থানীয়। তদন্ত টিমের সদস্যরা আকিফার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও মা’র সাথে কথা বলেন। এছাড়া স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথেও কথা বলেন তারা।
তদন্ত টিমে আছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, বিআরটিএ পরিচালক (অপারেশন) সিতাংশু শেখর বিশ্বাস, বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ও দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কাজী মোহাম্মদ সাইফুন নেওয়াজ, নিরাপদ সড়ক চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, সাংবাদিক অশোক চৌধুরী। এছাড়াও স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিআরটিএ বিভাগীয় পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত শেষে সড়ক পরিবহন ও সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশু আকিফার মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে যেটি মনে হয়েছে চালকের অদুরদর্শিতার কারণেই শিশু আকিফার করুণ মৃত্যু ঘটেছে। এই দুর্ঘটনার দায় চালক এড়াতে পারেন না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকিফার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের সাথেও কথা বলেছি। দুর্ঘটনার যে ভিডিওচিত্র সেটিও আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর প্রতিবেদন দিতে পারব।
ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর