খালেদার হাঁটুর ব্যাথাতেই আটকে বিএনপি: হাছান
বিএনপির রাজনীতি তাদের দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যাথায় আটকে আছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের স্মরণসভায় এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার হাত, পা এবং আর্থরাইটিসের ব্যাথা বহু বছরের পুরনো। এ রোগ গুলোকে বিএনপি নেতারা যেভাবে দেখাচ্ছেন এবং জনগণের ভোগান্তি ঘটিয়ে যেভাবে মানববন্ধন করছেন। তাতে মনে হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যাথার মধ্যে আটকে আছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি বারবার সামনে এনেছে বিএনপি।
বিএনপি প্রধানের জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির জন্য কারাগারেই আদালত বসার পর বিএনপি আবার তাদের নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে উচ্চকিত। তাকে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেড বা অ্যাপোলোতে ভর্তির অনুমতি চাইছে বিএনপি।
তবে সরকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল অথবা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চায়, এতে আবার রাজি নন খালেদা জিয়া। আর এর মধ্যে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তার মুক্তির দাবিতে সোমবার রাজধানীতে মানববন্ধনও করেছে বিএনপি।
বিএনপির কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যাথার জন্য কি হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে? সুতরাং আপনারা বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অসুস্থ রাজনীতি না করে বরং জনগনের কাছাকাছি আসুন।’
হাছান বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ যত্নবান। সেই জন্যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডে তার ব্যাক্তিগত চিকিৎসকদেরও পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।’
বেগম জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের প্রতি বিতৃষ্ণা কেন- এমন প্রশ্ন তুলে হাছান বলেন. ‘অথচ বেগম জিয়া সারাজীবন সামরিক হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এখন একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে যাওয়ার অভিপ্রায়ের মধ্যে দূরভিসন্ধি আছে। না হয় নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে যেতে হবে এ ধরনের গো ধরার কারণটা কী?’
সমকালের প্রয়াত সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের বিষয়ে হাছান বলেন, ‘তিনি শুধু একজন ভালো সাংবাদিক ছিলেন তা নয়, তিনি একজন ভালো মানুষও ছিলেন।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকি, সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুচ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি