মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:০০

আরিফুর রহমান

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের গ্রাম মধুখালী উপজেলার রউফনগরে (সালামাতপুর) গিয়েছিলাম গত বছরের ৬ এপ্রিল। বীরশ্রেষ্ঠের নামে করা গ্রন্থাগারে বই বিতরণের জন্য। সেদিন বীরশ্রেষ্ঠের অরক্ষিত বাড়িটি দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। জাতির একজন বীর সন্তানের স্মৃতি স্থাপনাটির নাজুক অবস্থা আমায় ব্যথিত করেছে।

মুন্সী আব্দুর রউফের বোন থাকেন সেখানে। তার সঙ্গে কথা বললাম। বললেন, কতজন জনপ্রতিনিধি হয়েছেন কেউ বীরশ্রেষ্ঠের বাড়িটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেননি। অনেককে বলেছেন, কাজ হয়নি। কিন্তু বাড়িটি সংরক্ষণ খুবই প্রয়োজন। স্থানীয়রাও দাবি তুলল।

গ্রন্থগারের সামনে এক অনুষ্ঠানে আমি সেদিন রউফনগরবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি তুলে ধরবো। বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের ব্যবস্থা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশের উন্নয়নে নিরলস কাজ করছেন, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়িটি অরক্ষিত থাকতে পারেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরলে তিনি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন।

ফিরে এসে আমি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরি। তার কিছুদিন পর বীরশ্রেষ্ঠের বাড়িটি সংরক্ষণে সীমানাপ্রচীর নির্মাণসহ উন্নয়নে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন। শিগগির বীরশ্রেষ্ঠের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ উন্নয়নে কাজ শুরু হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ধন্যবাদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শতবর্ষ মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন হচ্ছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে সুসংহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

লেখক: সহসভাপতি, বাংলাদেশ কৃষক লীগ; নির্বাহী সদস্য: ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ